শিক্ষা সাহিত্য

বলির পাঠা কে! রিয়াজুল করিম

প্রিন্ট করুন


দুই দেশের দুই নেতার ইচ্ছা আর জিদের কাছে বর্তমান বিশ্বের ৭৭০ কোটি মানুষের জীবন বিপন্নের পথে।

রুশ মার্কিন জীদের কাছে রক্তের নতুন সাগরের জন্ম হতে যাচ্ছে। যদি সত্যিকারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঘটেই যায়,তবে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ কোন না কোন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

রাশিয়া একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তারা মহাকাশে হামলা করবে এবং নিজেরা ইতিমধ্যে চায়নাকে বলেছে বিকল্প স্যাটেলাইট ব্যাবহারের সুযোগ দিতে।
এমনিতেই চায়না এবং রাশিয়া এক মেরুতে আছে।
সুতরাং রাশিয়ার যে মহাকাশে হামলার পরিকল্পনা আছে,তা রাশিয়ার কথাবার্তা এবং আকার ইঙ্গিতে প্রকাশ পাচ্ছে।

রুশ মার্কিন যেমন যুদ্ধ করে নিজেদের সুপার হিরো প্রমাণ করতে চাইছে।
এর চেয়ে আরও বড় সুপার সুপার হিরো হওয়ার সুযোগ তাদের কাছে আছে।

তা হলো কোন প্রক্রিয়ায় যুদ্ধ এড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা যায়।

পৃথিবীতে মানুষ-ই যদি না থাকে কে তাদের সুপার হিরো মানবে বা সম্মান করবে?

তৃতীয় যুদ্ধের মাধ্যমে পৃথিবী এক জনমানবহীন গ্রহে পরিনত হবে।
এতে কার এমন কি সুবিধা হবে এই ভাবনাটা তাদের নিজেদের-ই ভাবতে হবে।
কারন যুদ্ধ করা না করা পুরো বিষয়টি একান্তই রুশ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিষয়।

দুই পরাশক্তি যদি একটি সমীক্ষা করে দেখেন, তবে বুঝতে পারবেন,বর্তমান বিশ্বের ৯৫ শতাংশ মানুষ যুদ্ধ চায়না,সবাই চায় তারা শান্তিতে এই সুন্দর পৃথিবীতে বসবাস করবে।

আপনাদের ভাবতে হবে,আপনাদের মধ্যে কে বড় কে ছোট।
কার শক্তি বেশী এতে পৃথিবীর মানুষের কিছুই এসে যায় না।

আপনারা আপনাদের পকেটের টাকা দিয়ে পৃথিবীর মানুষকে খাওয়ান বা পরান না।
মানুষ নিজেরা কাজ করে খায়।

যদিও কোন কোন দেশের কিছু কিছু মানুষ কম বেশি সরকারী সহযোগিতা পেয়ে থাকে।
যা রাষ্ট্রের টাকা।
সুতরাং আপনারা কোন অধিকারে মানুষকে মেরে ফেলতে পারেন?
একবার ভাবুন তো
পারমাণবিক যুদ্ধের পরে পৃথিবীর কেমন অবস্থা হবে?

পৃথিবী অনুর্বর হয়ে যাবে,যারা বেঁচে থাকবে তাদের অধিকাংশ মানুষ ই বিকলাঙ্গ হয়ে যাবে।পৃথিবীর সব ইন্টানেট ব্যাবস্থা ভেঙে পড়বে।

পৃথিবী চলে যাবে আবার সেই শূন্যতে।
আপনাদের দুই নেতার কি ব্যাক্তিগত তেমন ক্ষমতা আছে,যে আপনারা পৃথিবীকে ৫০ বছরে তাঁর আপন অবস্থায় ফেরত আনতে পারবেন?

তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের দায় মূলত আমেরিকার উপরে-ই বেশী বর্তাবে।
কারন পৃথিবীতে বিগত একশো বছর যুদ্ধের মতো খেলা সবচেয়ে বেশী করেছে আমেরিকা।
অকারনে অন্যের বিষয়ে নাক গলিয়ে বা এক দেশের সাথে বন্ধুত্ব করে অন্য দেশকে ধ্বংস করেছে।
অনেক শান্ত দেশের প্রেসিডেন্টকে হত্যার জন্য সেই দেশের-ই কিছু বিপথগামী মানুষকে উসকিয়ে দিয়েছে।পরে মানুষ সব কিছু বুঝতে পেরেছে এই সব আমেরিকার পরিকল্পিত কাজ।

ন্যাটো কখনও যুদ্ধ চায়না,আমেরিকার ইন্ধনে মাঝে মাঝে আস্ফালন করছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটো যুদ্ধ করবে।
যদি ন্যাটোর একটি সদস্য দেশে রুশ হামলা করে।
কিন্তু চরম একটি সত্যি কথা বলে দিচ্ছি।

ন্যাটো যদি রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে-ই পড়ে,তখন আমেরিকা বড়জোর ন্যাটোকে কিছু অস্ত্রের যোগান দিবে।

মার্কিন কখনও রাশিয়ার সাথে সরাসরি যুদ্ধে জড়াবে না।
কারন মার্কিনের কাছে গোপন তথ্য আছে তারা রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে পারবে না।

আমেরিকার যুদ্ধের প্রস্তুতির আগেই রাশিয়া হামলা করে বসবে।
পারমাণবিক যুদ্ধের মুল বিজয়টা তাদের ঘরেই উঠবে যারা আক্রমণ আগে করবে।

আমেরিকার রাশিয়াতে আক্রমণ করতে হলে সিনেটে পাশ করতে হবে।
সিনেটে যুদ্ধের বিল উঠার আগে-ই পুতিন যুদ্ধের কাজের সমাপ্তি টেনে দিবে।

ন্যাটো এবং আমেরিকা একত্রে আক্রমণ করলেও রাশিয়ার সাথে পারবে না।
তার একটাই কারন আমেরিকা এবং ন্যাটো জোটের অনেক দেনাপাওনা ভাগবাটোয়ারা নেতৃত্বের বিষয় থেকে যাবে।
যখন-ই জোটের বিষয় থাকবে তখনই আমেরিকার সাথে ন্যাটোর বিশ্বাস অবিশ্বাসের অনেক প্রশ্ন হাজির হবে।
বাস্তবে আমেরিকা যে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে পৃথিবীতে যুদ্ধ করেছে,তা ন্যাটোর কাছে প্রমানীত।
সুতরাং ন্যাটো এবং আমেরিকার চুক্তির মাঝে সেই চোরা ফাটল রয়ে গেছে।
যে ফাটলের জন্ম হয়ে আছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে।

এই যুদ্ধ যদি সত্যিকারেই শুরু হয়,তবে অবশ্যই হবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ।

দুই পরাশক্তির উচিৎ পৃথিবীর মানুষকে বলির পাঠা না বানিয়ে বরং মানুষের পৃথিবীতে সুন্দর ভাবে বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করুন আর আপনারা দুই নেতা পৃথিবীর সুপার হিরো হয়ে ৭৭০ কোটি হৃদয়ের মনিকোঠায় বসত করুন।

যুদ্ধ নয় শান্তির পতাকা উড়ুক! পৃথিবীর সভ্যতার জয় হোক হাজার বছর।


Related Articles

Back to top button
Close