ভোর বেলায় কয় শালা-কাউসার সমীর

সকাল বেলায় বাজান ডাকে,
বিকাল কালে কয় হালা।
পদবী পাইলেই মহা খুশী,
তুমি যে ভাই অচাম-শালা ॥
কেউ খায় কাঁটা,কেউবা ধরা,
রাজনীতির আজব খেলা !
রাইতের কালে বন্ধু যেই জন,
তারা যে,শত্রু দিনের বেলা॥
ভাবে সাবে দেশ প্রেমিক,
যেনো ক্ষুধিরামের জাত্ ।
আন্দোলন সংগ্রামে নাই তারা,
ফেবুর তরে পার করে রাত্ ॥
ফেবুর মাঠে ইস্ট্যাটাস মারে,
যুদ্ধ যুদ্ধ যুদ্ধ যে চাই।
মিছিলে মিটিং-এ নাই তারা,
ফোন করে বলে বহুদূরে ভাই ॥
ফুঁটানী করিয়া লাল চা খায়,
কিন্তু,তাদের ঘরে নাই ভাত।
কতা বার্তায় সদরঘাট তারা,
ওরা আস্তা মুনাফিকের জাত ॥
ভাগ্যের টানে ওরাই কিন্তু,
একদা বহুত বড় নেতা হয়।
ক্ষেমতা পাইলে চিনেনা কাউকে,
করে,তাদের মনে যাহা লয়।
উল্লার পুতেরা চাম বদলাইয়া,
বইনা যায় বিশাল বড় নেতা।
গরীবের ধনে সম্পদ করিয়া,
ভূলে যায় কি ছিল তাদের পিতা ?
চুঙা লইয়া গলাবাজি করে,
শুনায়,শান্তি ও নীতির কথা।
নিরবে নিবৃত্তে জ্বলছে মানুষ,
কেউ দেখেনা তাদের ব্যাথা।
এই রুপ যে আজব রুপ,
রাজনীতির অপরুপ খেলা।
ভাল মানুষ তিরষ্কৃত হয়,
নষ্টদের গলায় ফুলের মালা।
পদবী না দিলে অন্যকিছু দেও,
তুমি জগতে অনেক ভালা।
নিশি রাইতে বাজান ডাকে,
ভোর বেলায় কয় শালা।