বানিয়াচংয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা ও ৩ কমিউনিটি ক্লিনিকে আসবাবপত্র বিতরণ
বানিয়াচং(হবিগঞ্জ) সংবাদদাতা । হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়নের মার্কুলী বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অঙ্গসহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা দোয়া মাহফিল ও ইউনিয়নের ৩টি কমিউনিটি ক্লিনিকের আসবাবপত্র প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিতরণ করেছেন হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জননেতা জনাব আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খান এমপি। আজ (২৭ আগস্ট) বৃহস্পতিবার বিকালে ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ডাক্তার ঋতু মোহন দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মলাই মিয়ার পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের ইউএইচও ডাঃ আল-হাদী মোহাম্মদ শাহপরান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন মাষ্টার, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমিন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার প্রমুখ ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য আব্দুল মজিদ খান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টের নির্মম হত্যাযজ্ঞ এবং পরবর্তীতে ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলা একই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। ১৫ আগষ্টের
প্রধান টার্গেট ছিল আমাদের ভৌগলিক মুক্তির স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর একুশে আগষ্টের প্রধান টার্গেট ছিল আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির স্থপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা। দুটি ঘটনার কুশীলবরা এখনও সক্রিয়। তাদের ষড়যন্ত্রের নীলনকশা এখনও চলছে।তিনি আরও বলেন,পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট ঘটে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। জগতে আর কোনো হত্যাকাণ্ডে নিষ্পাপ শিশুকে হত্যা করা হয়নি, অবলা নারীকে হত্যা করা হয়নি, টার্গেট করা হয়নি অন্তঃসত্ত্বা নারীকে, টার্গেট করা হয়নি মেহেদি-রাঙ্গা নববধূকে। সে সময় বিদেশে ছিলেন বলেই প্রাণে বেঁচে যান আমাদের আশার বাতিঘর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর আরেক কন্যা শেখ রেহানা। সেদিন তারা বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই আজকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। হয়েছে যুদ্ধাপরাধের বিচার। কলঙ্কমুক্ত হয়েছে দেশ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে দেশটাকে এগিয়ে নিতে হবে।