বানিয়াচংয়ে ১ দিনে চান মিয়াসহ ৩ মরদেহ উদ্ধার
বানিয়াচং প্রতিনিধি। বানিয়াচং উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১ দিনে চান মিয়াসহ ৩ মরদেহ উদ্ধার করেছে বানিয়াচং থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, ৬জুলাই (শনিবার)বানিয়াচং উপজেলা সদরের ১নং উত্তর পশ্চিম ইউনিয়নের কামালখানী এলাকায় বাড়ির পাশে হাওরের মধ্যে রুমা আক্তার(১৮)এর লাশ পড়ে থাকতে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ৮টার দিকে রুমা আক্তারের লাশ উদ্ধার করেন।
অন্যদিকে উপজেলার ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়ন এর আড়িয়ামুগুড় এলাকা থেকে সিপ্রা রাণী দাস (২৩)
নামের এক কিশোরীর নিজ বাড়ির মাচার উপরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের লোকজন।
পরে থানা পুলিশকে অবগত করা হলে সকাল ৯টার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিপ্রা রানী দাসের লাশটি উদ্ধার করেন।
এছাড়াও গতকাল ৫ জুলাই(শক্রুবার) বানিয়াচং উপজেলার ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়নে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হাওরের মধ্যে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে এক নৌকার মাঝি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে।
এই নিখোঁজ হওয়া নৌকার মাঝির লাশ ৬ জুলাই (শনিবার) ঘটনার ১৭ ঘন্টা পর হবিগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের একদল ডুবুরি দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া নৌকার মাঝি চান মিয়া (৩২)এর লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
এ ব্যাপারে মৃত চান মিয়ার ভাই স্থানীয় বাজারের পল্লী চিকিৎসক রফিক মিয়া জানান,গতকাল আমার ভাই অসাবধানতার বসত বৈদ্যুতিক কারেন্ট লাইনে লেগে গিয়ে দুর্ঘটনায় শিকার হয়ে পানিতে ডুবে যায়। শুনে আমরা চেষ্টা করে তার মৃত মরদেহটি উদ্ধার করতে পারেননি। আজ ডুবুরি দল এসে ১৮ ঘন্টা পর চান মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছেন। তিনি আরো জানান, উদ্ধারের পর পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। তার মৃত্যুতে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় পুলিশ আমাদের কাছে ময়নাতদন্ত না করে লাশ হস্তান্তর করেছেন।
লাশ উদ্ধারের ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হুসাইন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসবের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,রুমা আক্তার মৃগী রোগী ছিলো এবং সিপ্রা রানী দাস মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলো বলে জানতে পেরেছি।তবে লাশ উদ্ধার করে রুমা ও সিপ্রা রানীর ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।এসব মৃত্যুর পাছনেও পুলিশের পক্ষ হতে তদন্তধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।