দেশজুড়ে

নবীগঞ্জে রাতের আধারে জোড়া হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি

প্রিন্ট করুন

এম.মুজিবুর রহমানঃ নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকেঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে বিশালদেহী ২ জোড়া হাতি। সেই হাতির পিঠে বসা মাহুত রাজু ও মালিক। মাহুতের নির্দেশেই এক দোকান থেকে আরেক দোকানে যাচ্ছে হাতি গুলো। এরপর শুঁড় সোজা এগিয়ে দিচ্ছে দোকানির কাছে। শুঁড়ের মাথায় চাহিদা অনুযায়ী টাকা গুঁজে না দেওয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছে না হাতি গুলো। এভাবেই অভিনব কৌশলে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জের আউশকান্দি বাজার, বাংলা বাজার সহ বিভিন্ন হাট বাজারে
হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মধ্যে ক্ষোভের ও সৃষ্টি হয়েছে। ১৮ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা রাত অনুমান ৭টায় উপজেলার আউশকান্দি বাজার এলাকায় দেখা যায় এই চাঁদা তোলার দৃশ্য৷

সরেজমিনে দেখা যায়, হাতি দিয়ে টাকা তুলছেন মাহুত রাজু ও মালিক। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে দোকানের ধরন অনুযায়ী ১০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে চাঁদা। শুধু দোকান নয়, সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের পথ রোধ করেও টাকা তুলতে দেখা যায় এসব মাহুতের। উপজেলার গুরুত্পূর্ণ একটি বাজার আউশকান্দি ও বাংলা বাজারে হঠাৎ দুই জোড়া হাতি এসে শুঁড় এগিয়ে দেয় দোকানীদের নিকট। সঙ্গে সঙ্গে দোকানীরা ১০/ ২০ টাকা থেকে শুরু করে হাতিটির শুঁড়ে ১০০ টাকা পর্যন্ত গুঁজে দিতে হয়৷

টাকা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ওই দোকানদার রূহিনী ঠাকুর, দৃধু মিয়া চৌধুরী সহ আরো অনেকেই বলেন ‘টাকা না দিলেতো হাতি যাবে না। এ ছাড়া দেরি হলে অনেক সময় হাতি ভাংচুর ও করে। এ জন্য ঝামেলা হওয়ার আগেই টাকা দিয়ে দিতে হয়৷

হাতির পিঠে বসে থাকা মাহুত রাজু বলেন, ‘হাতির ভরণপোষণের জন্য সবাই খুশি হয়ে কিছু টাকা দেয়। আমরা চাঁদাবাজি করিনা, যে যাহা মনচায় খুশি হয়ে দেন৷ মাহুত মালিক বলেন আমরা মৌলভী বাজার কুলাউড়া থেকে আসছি, এই হাতি গুলোদের ভরণ পোষণের পাশাপাশি এই টাকা দিয়ে তাদের ও তাদের সরদারের সংসার চলে৷ এ ঘটনায় এলাকায় সাধারণ ব্যবসায়ী পথচারীদের মধ্যে নানা কৌতুহলের সৃস্টি হলেও অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও কামনা করেন অনেকেই৷


Related Articles

Back to top button
Close