দেশজুড়ে

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে : সিইসি

প্রিন্ট করুন

হবিগঞ্জের সংবাদ, অনলাইন ডেস্ক।রাজধানীর নির্বাচন ভবন থেকে সিসিটিভি ক্যামেরায় গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।’ আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণের মনিটরিং সেলে বসে সিইসি এ মন্তব্য করেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আইন ভঙ্গ করে গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছি।’
এ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৩টি ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ নির্বাচন কমিশন স্থগিত করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে, জানা গেছে ৫১টি ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছে কমিশন।

এ উপনির্বাচনে মোট পাঁচজন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া সবাই একযোগে ভোট বর্জন করেছেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, ‘মূল অ্যাকশন হিসেবে আমরা কেন্দ্র বন্ধ করেছি। এখন চাকরিবিধি অনুযায়ী বা অন্য বিধি অনুযায়ী কী অ্যাকশন নেব তা পরবর্তীতে দেখব। আমরা টেলিফোনে এসপি, ডিসি, রিটার্নিং অফিসারকে বলেছি, আমরা এখান থেকে সিসি ক্যামেরায় দেখতে পেয়েছি। তাই সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিয়েছি। কমিশন যদি মনে করে নির্বাচন সঠিকভাবে হচ্ছে না, তাহলে নির্বাচন বন্ধ করতে পারে। আমরা সেই আলোকে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যখন নেব, তখন জানাব।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে অনেকটাই। আপনারাও দেখতে পেয়েছেন যে গোপন কক্ষে কী হচ্ছে এবং সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন হচ্ছে না। কেন এমন হচ্ছে তা চটজলদি বলতে পারব না।’

সিইসি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা আমরা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। ইভিএমেরও কোনো ত্রুটি দেখতে পাচ্ছি না। ওই যে মানবিক আচরণ, আরেকজন ঢুকে যাচ্ছে, দেখিয়ে দিচ্ছে।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, ‘এটা সুশৃঙ্খল নির্বাচনের পরিপন্থী। এরাই ডাকাত, এরাই দুর্বৃত্ত। যারাই আইন মানছেন না তাদেরকেই আমরা ডাকাত-দুর্বৃত্ত বলতে পারি। কারণ, আইনের প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধা করতে হবে। সবাই যদি আইন না মানি, নির্বাচন কমিশন এখানে বসে সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারবে না।’ সূত্র এনটিভি


Related Articles

Back to top button
Close