দেশজুড়ে

বিমানবন্দরে ‘চুরি’র ঘটনা ঘটতে পারে না- মাহবুল আলী

প্রিন্ট করুন

হবিগঞ্জের সংবাদ, অনলাইন ডেস্ক। নেপালে ইতিহাস গড়ে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল (রাহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখে সাবিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এরপর সেখান থেকে রাজসিক সংবর্ধনা দিয়ে ছাদখোলা বাসে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় বাফুফে ভবনে। এর মধ্যে বিমানবন্দরে ঘটে এক অপ্রীতিকর ঘটনা। কৃষ্ণাদের লাগেজ ভেঙে ডলার, টাকা ও উপহারসামগ্রী চুরির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন, নারী খেলোয়াড়দের নেপাল থেকে বাংলাদেশ বিমানবন্দরে ভিআইপি প্রোটোকল মেনে আনা হয়েছে। এখানে এমন কোনো ঘটনা (চুরি) ঘটতে পারে না।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনস জানায়, খেলোয়াড়দের বহনকারী উড়োজাহাজটি দুপুর ১টা ৪২ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ২টা ১০ মিনিটে ফ্লাইটটির ব্যাগেজ ৮ নম্বর ব্যাগেজ বেল্টের মাধ্যমে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে সার্বক্ষণিক তদারকির মাধ্যমে ডেলিভারি দেয়া হয়। এ সময় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়রা তাদের লাগেজগুলো সঠিক অবস্থায় বুঝে নেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, লাগেজগুলো বুঝে নেয়ার সময় লাগেজ থেকে কোনো কিছু খোয়া যাওয়ার বিষয়ে তখন কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার এয়ারপোর্টের বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে লাগেজে চুরির বিষয়ে তোলা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।

এদিকে বাফুফের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ সাফজয়ী নারী দলের সদস্য কৃষ্ণা রানি সরকারের ব্যাগ থেকে ৫০০ ডলার (প্রায় ৫২ হাজার টাকা) এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা চুরি হয়ে গেছে। সামসুন্নাহার সিনিয়রের ব্যাগ থেকে হারিয়েছে ৪০০ ডলার (প্রায় ৪২ হাজার টাকা)।

অন্যদিকে মার্জিয়ার ব্যাগ থেকে কিছু সংখ্যক নেপালি মুদ্রা হারানোর কথা জানিয়েছেন দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। এ ছাড়াও অনেকের লাগেজের তালা ভাঙা ছিল বলেও জানানো হয়। যেখানে শাড়ি, প্রসাধনীসহ মূল্যবান উপহার সামগ্রী ছিল বলে জানা যায়।

সারাদিনের সংবর্ধনা ও ক্লান্তি শেষে ফুটবলাররা যখন লাগেজ হাতে পান, তখন বিষয়টি নজরে আসে তাদের। এ ঘটনার পরপরই নড়েচড়ে বসেছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বাফুফে।

এর আগে বুধবার দেশের মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন সাবিনারা। রাস্তার দুই ধারে যতদূর চোখ যায় শুধু মানুষ আর মানুষ। তীব্র গরম উপেক্ষা করেই সাফজয়ী অদম্য সাবিনা-সানজিদাদের একনজর দেখতে আর শুভেচ্ছা জানাতে সকাল থেকেই বিমানবন্দর এলাকায় ভিড় করতে থাকেন ক্রীড়াপ্রেমী সমর্থকরা। সময় যত গড়িয়েছে, মানুষের ভিড় তত বেড়েছে।

বিমানবন্দরে একদফা সংবর্ধনা শেষে ছাদখোলা বাসে চড়ে মতিঝিলের বাফুফে ভবনে যাওয়ার পথে মানুষের ভিড়ে গাড়ি যেন এগোচ্ছিলই না। উৎসুক জনতাকে নিরাশ করেননি ইতিহাসগড়া মেয়েরা। ভ্রমণের ক্লান্তি উপেক্ষা করেই সারাটা সময় হাত নাড়িয়ে ট্রফি উঁচিয়ে অভিবাদনের জবাব দিয়ে গেছেন তারা।


Related Articles

Back to top button
Close