দেশজুড়ে

রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাঃ বিভক্ত ইউরোপ

প্রিন্ট করুন

হবিগঞ্জের সংবাদ অনলাইন ডেস্ক।

সোমবার যখন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিচ্ছিন্নতাবাদী ইউক্রেনীয় ছিটমহল ডোনেটস্ক এবং লুহানস্কের স্বীকৃতি দেন, তখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার অভ্যন্তরীণ বৃত্তের লোকদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার দ্রুত এবং কার্যকর সিদ্ধান্তের জন্য প্রশংসিত হয়েছিল।

ব্লকের নেতারাও সতর্ক করেছিলেন যে, পুতিন ইউক্রেনে আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিলে নিষেধাজ্ঞার একটি বড় প্যাকেজ প্রস্তুত করা হচ্ছে। এবং বুধবার কূটনীতিকরা আশা প্রকাশ করেছেন, ইইউ নেতাদের এই হুমকি রাশিয়ার জন্য যথেষ্ট হবে এবং একটি প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করবে। কিন্তু রাশিয়ান সৈন্যরা বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করার সাথে সাথে এটি বেদনাদায়কভাবে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, তারা খুবই ভুল গণনা করেছেন।

ইইউ নেতারা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি জরুরি শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ব্রাসেলসে ছুটে গিয়েছেন যা দ্রুত নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয় দফা অনুমোদনের চেষ্টা করবে। যদিও সেখানে এক প্রজন্মের সংঘাতের মুখে বিভ্রান্ত না হয়ে আপস খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। আক্রমণের আগ পর্যন্ত, নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আলোচনায় সরাসরি জড়িত ইউরোপীয় কূটনীতিকরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনেক কম ঐক্যবদ্ধ চিত্র উপস্থাপন করেছিলেন। তারা রাশিয়ান গ্যাসের উপর নির্ভরশীলতার কারণে তাদের নিজস্ব অর্থনীতিকে পঙ্গু না করে মস্কোকে সত্যিকারের শাস্তি দেয়ার উপায়গুলো খুঁজে ফিরছেন মাত্র।

কূটনীতিকরা বলেছেন যে, বেশ কয়েকটি ইইউ সদস্য রাশিয়ার অর্থনীতির অন্যান্য সেক্টর সম্পর্কে উদ্বিগ্ন ছিলেন যেগুলোকে শাস্তি দেয়া যেতে পারে। অস্ট্রিয়া, জার্মানি এবং ইতালি আন্তঃসীমান্ত আর্থিক লেনদেন এবং ব্যাংকিং কার্যক্রমের উপর বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এবং ইতালি বিলাস দ্রব্যের শিল্পকে নিষেধাজ্ঞায় না রাখতে চাপ দিচ্ছিল যাতে তারা রাশিয়ায় ফ্যাশন এবং অন্যান্য উচ্চমানের পণ্য রপ্তানি চালিয়ে যেতে পারে।

তবে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডের লেইন বলেছেন, আজই ইউরোপিয়ান নেতাদের কাছে ‘ব্যাপক এবং সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ’ এর প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পুতিন ইউরোপে যুদ্ধ ফিরিয়ে এনেছেন। আমরা রাশিয়া’র অর্থনৈতিক ভিত্তি এবং তার আধুনিকায়নের সক্ষমতা দুর্বল করবো। রুশ অর্থনীতির কৌশলগত খাতগুলোকে লক্ষ্য করা হবে, যেন প্রধান প্রধান প্রযুক্তি এবং বাজারে তারা প্রবেশ করতে না পারে।’

সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস।


Related Articles

Back to top button
Close