নবীগঞ্জে নিখোজেঁর ৩ দিন পর ডোবা থেকে মিশুকচালকের লাশ উদ্ধার

ইতি রাণী দেবী হবিগঞ্জ, নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ;
নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের গুজাখাইর শরেষপুর থেকে মিশুকচালক আবিদুর রহমান (১৮) এর লাশ উদ্ধার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। নিহত আবিদুর নবীগঞ্জ পৌর এলাকার কেলী কানাইপুর গ্রামের পাতা মিয়ার পুত্র।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে সদর ইউনিয়নের গুজাখাইর শরেষপুর গ্রামে রাস্তার পাশের একটি ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা করে নবীগঞ্জ থানার পুলিশ।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার গুজাখাইর থেকে নবীগঞ্জে এসে যাত্রী নিয়ে নবীগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব তিমির পুরের এদিকে যাওয়ার পর থেকে মিশুক গাড়ি ও তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলনা। আত্মীয়
স্বজনসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোজাখোজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে বুধবার নবীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। ডায়েরী করার পর থেকেই নবীগঞ্জ থানা পুলিশ মিশুকগাড়ি ও তার সন্ধানে অভিযান শুরু করে।
এদিকে নিখোঁজের ৩দিন পর শুক্রবার দুপুরে ৮নং সদর ইউনিয়নের গুজাখাইর শরেষপুর গ্রামে রাস্তার পাশের একটি ডোবায় লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা লোকজন।,
পরে পুলিশকে খবর দিলে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ ডালিম আহমদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় লাশটি উদ্দার করে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন। তবে এখন পর্যন্ত মিশুক গাড়িটির কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল খায়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৭ অক্টোবর ২০২০ইং অটোরিক্সাসহ নিখোঁজের ৪দিন পর নবীগঞ্জ পৌর এলাকার পূর্ব তিমির পুর থেকে গুজাখাইর গ্রামের আবিদ উল্লাহ সেজু (১৮) এর লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। ১১ মাসের মাথায় একই ঘটনার পূনরাবৃত্তি ঘটনায় শহরজুড়ে নানা আলোচনা-চলছে।।
নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেল এএসপি আবুল খায়ের লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তার মিশুক গাড়িটির জন্যই তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খুব গভীরভাবে তদন্ত করছি। আশা করছি খুব দ্রুত এর মূল রহস্য উদঘাটনসহ প্রকৃত আসামীদেরকে আইনের আওতায় আনতে পারবো।