প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার মনোনয়নে হৃদয় দেবনাথের নাম পূর্নবিচেনার দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ
বৃক্ষ রোপন ও সংরক্ষণে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার ২০১৯ “ঞ” শ্রেনীতে তৃতীয় পুরস্কার হৃদয় দেবনাথ এর মনোনয়ন পূর্নবিচেনার দাবীতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শ্রীমঙ্গল লাউয়াছড়া বন ও জীববৈচিত্র রক্ষা আন্দোলন নামে একটি পরিবেশবাদী সংগঠন।
বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নজরুল ইসলামের হাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরিত স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের আহ্বায়ক ও দ্বারিকাপাল মহিলা কলেজের প্রভাষক জলি পাল, যুগ্ম সদস্য সচিব প্রীতম দাশ, বৃহত্তর সিলেট ত্রিপুরা উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জনক দেববর্মা, সাধারণ সম্পাদক সুমন দেববর্মা, শিক্ষিকা রহিমা বেগমসহ সংগঠনের অনান্য নেতৃবৃন্দ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়- ‘সম্প্রতি শ্রীমঙ্গলে বসবাসকারী হৃদয় দেবনাথ নামক ব্যাক্তি বৃক্ষরোপনে প্রধানমন্ত্রীর পুরষ্কার ২০১৯ “ঞ” শ্রেনীতে মনোনীত হওয়ার খবরে আমরা হতবাক ও সংক্ষুদ্ধ হয়েছি। হৃদয় দেবনাথ নামের ব্যাক্তি লাউয়াছড়া জীববৈচিত্র ফাউন্ডেশন নামে ৫০ হাজার বৃক্ষ রোপনের উদ্যোগ নিয়ে ১০ হাজার বৃক্ষ রোপন করার যে দাবী করেছেন তা অসত্য ও বানোয়াট যা সঠিক নয়। আমরা লাউয়াছড়ার জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও পরিবেশ রক্ষা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত এ অঞ্চলে কাজ করে আসছি যা সকলেই অবগত রয়েছেন। হৃদয় দেবনাথ লাউয়াছড়া বন বা অন্য কোথাও কোন বৃক্ষ রোপন করেননি। উল্টো অন্যের লাগানো বৃক্ষের সাথে ছবি তুলে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুরষ্কার হাতিয়ে নেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। হৃদয় দেবনাথ প্রাণী বা বৃক্ষপ্রেমী নন। বরং এ অঞ্চলের মানুষ তাকে চিহ্নিত চাঁদাবাজ, ধর্ষণ মামলার আসামী হিসেবেই জানে। এছাড়া তিনি লাউয়াছড়া বনে আগুন জ্বালানো, ডিজে পার্টিতে নৃত্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা প্রচারও করেছেন।
এমন ব্যক্তিকে বৃক্ষ রোপনে প্রধানমন্ত্রীর পুরষ্কার প্রদান করা হলে তা এই পুরস্কারের মর্যাদা হানি হবে বলে আমরা মনে করি। স্মারকলিপিতে হৃদয় দেবনাথের মনোনয়নের বিষয়টি পূর্নবিচেনার অনুরোধ জানানো হয়।
এ বিষয়ে প্রভাষক জলি পাল বলেন, এই পুরষ্কারের সাথে দেশের ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা জড়িত। তাই কোন মাদকসেবী, নারী ধর্ষনে অভিযুক্ত কেউ এই পুরষ্কার পেতে পারেন না। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষন করতে আমাদের এই স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
জানতে চাইলে, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, স্মারকলিপিটি আমরা গ্রহন করেছি, এটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।