বাহুবলে জামাল হত্যা মামলার বাদি ও সাক্ষীদের বিরুদ্ধে লুটপাটের মামলা
স্টাফ রিপোর্টার ।। বাহুবলের ফতেহপুর গ্রামের দিনমজুর জামাল হত্যা মামলার বাদি ও সাক্ষীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আসামি পক্ষ হতে লুটপাট-ভাংচুরের মামলা দায়ের করা হয়েছে। গরু, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা সহ প্রায় কোটি কোটি টাকার মালামাল লুটপাটের অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেছেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি সজলু মিয়ার মা রাহেনা বেগম। হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। এতে নিরাপত্তাহীনতাসহ অহেতুক হয়রানির আতঙ্কে ভুগছেন হত্যা মামলার বাদী ও সাক্ষীরা।
উল্লেখ্য, জমিতে পানি সেচ দেয়া নিয়ে ফতেহপুর গ্রামের গেদা মিয়া মিয়ার পুত্র জামাল মিয়ার বিরোধের সৃষ্টি হয় একই গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের পুত্র সজলু মিয়ার সাথে। এর জের ধরে গত ৫ জানুয়ারী শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় হাওর থেকে বাড়ি ফেরার পথে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জামাল মিয়া ও তার ভাই জুয়েদ মিয়া চৌধুরীর উপর হামলা চালায় সজলু ও মুকিত মোল্লার লোকজন। তাদের এলোপাতাড়ি আক্রমণে গুরুতর আহত হন জামাল মিয়া। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাহুবল পরে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এব্যাপারে নিহতের ভাই আহত জুয়েদ মিয়া চৌধুরী বাদি হয়ে সজলু মিয়াকে প্রধান আসামী করে মুকিত মোল্লা সহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে ৬ ফেব্রুয়ারী বাহুবল মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর পরপরই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজহারভুক্ত আসামি শিল্পী আক্তার (৩৫), কাওছার মিয়া (৩৫) ও সুমন মিয়া (২৫) কে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
অপরদিকে আসামিরা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। তবে তাদের অন্যান্য সহযোগীরা আসামীদের বাড়ি ঘর থেকে গরু – ছাগল সহ মালামাল গাড়িযোগে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। গত ৭ ফেব্রুয়ারী দুপুরে গাড়িযোগে গরুসহ মালামাল অন্যত্র পাচারকালে বাদীর লোকজন আটক করে পুলিশের জিম্মায় দেয়। তাৎক্ষণিক মামলার আইও থানার এসআই শহিদুল ঘটনাস্থলেই আমামী পক্ষের এক আত্মীয়ের কাছে গরুগুলো সমজিয়ে দেন বলে স্থানীয় লোকজন জানান।
হত্যা মামলার বাদি নিহত জামাল মিয়ার ভাই জুয়েদ মিয়া জানান, হত্যাকান্ডের পর হতেই আসামি পক্ষের লোকজন নিজেদের বাড়িঘরের মালামাল রাতের আঁধারে সরিয়ে নিতে থাকে। এমনকি গাড়িযোগে গরু-বাছুর অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সামনে পুলিশের জিম্মায় দেই। এছাড়া রাতের আঁধারে নিজেরা ঘর-দরজা ভাংচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করার হুমকি দিচ্ছে। এতে তারা নিরাপত্তাহীনতাসহ অহেতুক হয়রানির আতঙ্কে ভুগছেন বলে জানান।