লাইফস্টাইল

ভালোবাসা দিবসে ফুলের দামে আগুন, সাজ্জাদ বিন লাল

প্রিন্ট করুন

পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর, কোমল, দুরন্ত আর মানবিক অনুভূতি হচ্ছে ভালোবাসা। ভালোবাসা মানেনা জাত ভেদা-ভেদ, মানে না কোন বাঁধা। ভালোবাসতে নির্দিষ্ট কোনো দিন কিংবা নির্দিষ্ট কোনো সময়ের প্রয়োজন হয় না।

তবুও ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ভালোবাসা দিবস হিসেবে বেছে নেয় অনেক মানুষ। তারুণ্যের অনাবিল আনন্দ আর বিশুদ্ধ উচ্ছ্বাসে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয় বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।

শহর-নগর পেরিয়ে এই দিবসের গন্ধটা ছড়িয়ে যায় বাংলার প্রতিটি অঞ্চলে প্রতিটি স্থরের প্রতিটি মানুষের কাছে। শুধু তরুণ-তরুণী নয়, নানা বয়সের মানুষের ভালোবাসার বহুমাত্রিক দিন এটি।

এ ভালোবাসা যেমন সন্তানের প্রতি মা-বাবার তেমনি মানুষে মানুষে ভালোবাসার দিনও এটি। এই ভালোবাসা দিবসকে রাঙাতে কতোই না আয়োজনের কথা ভাবেন যুগলরা। যার মূল অনুসঙ্গ রঙ-বেরঙের ফুল।

তাই এই ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে কয়েকগুন বেড়ে যায় ফুলের চাহিদা, সাথে সাথে চড়া দাম। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে ফুলের দোকান ছাড়াও ভিবিন্ন অলিতে-গলিতে ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেন অনেকেই।

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মাত্র এক দিনের জন্য ফুল বিক্রেতা হবেন অনেকেই। ফুলপ্রেমী সব বয়সের মানুষেই ভিড় করবেন ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিটি ফুলের দোকানে। অস্থায়ী দোকান গুলোতে ও গোলাপের চাহিদা অনেক বেশি থাকে।

সাধারণত এক একটা গোলাপ ফুল বিক্রি হয় ১০ টাকা দামে। কিন্তু যখন ভালোবাসা দিবস আসে তখন প্রতিটি ফুল বিক্রি করা হয় প্রায় ৪০-৫০ টাকা দামে। মানুষের চাহিদা দেখে ফুল বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দেয়।

এছাড়াও রজনীগন্ধা, গ্লোসি, অর্কিড, গাঁদা, বেলী ফুলের মালার দাম অনেক গুন বেশি হয়। ভালোবাসা দিবসে অস্থায়ী ফুল বিক্রেতা অনেক বেশি লাভবান হয়। ভালোবাসা দিবসে ফুলের গুরুত্ব থাকে খুব বেশি। তাই এই দিনে সবাই একটু বেশি দামই রাখে।

ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে রাস্তার মোড়ে ফুলের দোকানের পসরা সাজিয়ে বসে অনেকেই বেঁচাকেনা করে খুব। তবে অন্য দিনের তুলনায় এই বেঁচা কেনা ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের সকাল থেকে আরও অনেকগুন চাহিদা বাড়ে।

তখন মনে হয় যেন ফুলের বাজারে দামের আগুন লেগেছে। প্রিয়জনের মন খুশি রাখতে এবং দিনটা কে স্মরণীয় করে রাখতে দামের আগুন কে তুচ্ছ করে ও ফুটন্ত গোলাপ কিনেন অনেকে।


Related Articles

Back to top button
Close