দেশজুড়ে

বানিয়াচংয়ে মাইকে ঘোষনা দিয়ে সংঘর্ষে বিচারের সালিশ

প্রিন্ট করুন

সাজ্জাদ বিন লাল, বানিয়াচং

বানিয়াচংয়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামের সংঘর্ষের বিষয়টি সালিশ বিচারের আওতায় এনেছেন মানবতার ফেরিওয়ালা জননেতা জনাব আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খান এমপি..!!

জানা যায় বানিয়াচংয়ে হাওড়ে জলাশয়ে বাঁধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশত নারী পুরুষ আহত হন। গত শুক্রবার ১৮ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ১ নম্বর উত্তর-পূর্ব ইউনিয়নের কামালখানী গ্রাম ও মজলিশপুর গ্রামের সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। দুপুর ১টা পর্যন্ত চলতে থাকে সংঘর্ষ।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা ও জনপ্রতিনিধিরা হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পরে উভয় গ্রামবাসী আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে হবিগঞ্জ থেকে দাঙ্গা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কানিভাঙ্গা নামে একটি জলাশয়ে কামালখানী গ্রামের লোকজন বাঁধ দেওয়ায় মজলিশপুর গ্রামের লোকজন গত শুক্রবার ভোরে এই বাঁধ ভেঙে দেয়। পরে কামালখানী গ্রামের লোকজন মজলিশপুর গ্রামের লোকজনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সঠিক জবাব না দিয়ে তাদের বাঁধের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এতে মজলিশপুর গ্রামের লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের লোকজনকে ঘটনাস্থলে দেশি অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানায়। এদিকে কামালখানী গ্রামের লোকজনও মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের লোকজনকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানায়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার পরও দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে।

এমপি আব্দুল মজিদ খান মহোদয় সংঘর্ষের বিষয়টি অবগত হয়ে আজ রবিবার ২০ ডিসেম্বর রাতে বানিয়াচং বড়বাজার প্রেসক্লাবে বসে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সালিশি ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে আলোচনা করে আগামী ২ জানুয়ারি সকালে সালিশ বিচারের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করার জন্য তারিখ ঠিক করেছেন।

এ সময় বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমীর হোসেন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান, সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, আলীয়া মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপ্যাল মওলানা আতাউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা শাহ নেওয়াজ ফুল মিয়া সহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দ ও সালিশি ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


Related Articles

Back to top button
Close