প্রধান শিক্ষিককে লাঞ্ছিত করার মিথ্যা গুজবে এলাকায় সংঘর্ষের আশংকা
নিজস্ব প্রতিনিধি,বানিয়াচং থেকে । বানিয়াচং উপজেলার একতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্কুলে না আসাসহ বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষিককে মারধর করা হয়েছে বলে মিথ্যা গুজবে এলাকায় বিশৃঙ্খলা৷ ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে । মিথ্যা গুজব করায় একালাবাসী প্রকাশ্য স্থানীয় বাজারে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান চোকদারকে স্কুলে না আসতে আলটিমেটাম দেওয়া নিয়ে দুইপক্ষে মধ্যে যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে বলে স্থানীয়রা মুখে শোনা যায় । তবে প্রধান শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর মৌখিক অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে একটি সূত্র জানায় ।
জানা যায়, উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নের একতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান চোকদারের বিরুদ্ধে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মাইন উদ্দিন মিয়া গত ৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ইং তারিখে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর, অযোগ্য দুর্নীতিবাজ, জাল সাটিফিকেট, ৫/৬ লক্ষ টাকা টিউশন ফি আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত, শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনের বিদ্যালয়ের অংশ,প্রভিডেন্ট ফান্ড এর টাকা না দেওয়াসহ অহরত দুর্নীতি ও ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণ ফোনালাপের বিষয়ে খবর প্রকাশ পায় এর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় এলাকায় প্রধান শিক্ষক কিছু সংখ্যক মানুষকে নিয়ে একটি গ্রুপ সৃষ্টি করেন। তাতে স্থানীয় জনতার রোষানলে পরেন প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান চোকদার। গত মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষক চোকদার স্কুলের কাজ শেষে স্থানীয় মিলন বাজারে সহকারী শিক্ষক শাসছুর রহমান প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেছেন বলে মিথ্যা গুজব দিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সহকারী শিক্ষক শামছুর রহমান স্কুলে গেছে ছাত্রলীগের এক কথিত নেতা মহি উদ্দিনসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য দাবিদার আকবর হোসেন ও জহিরুল ইসলাম স্কুলে প্রবেশ করে শামছুর রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এর খবর পেয়ে স্থানীয় অর্ধশতাধিক জনতা স্কুলে প্রবেশ করে তাদের হাত থেকে শামছুর রহমান রক্ষা করেন । পরে জনতা আনন্দ বাজারে প্রকাশ্য প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান চোকদারকে স্কুলে না আসতে আলটিমেটাম ও অপসারণের দাবি জানানো হয়। এই নিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে এবং যে কেনো সময় রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী দাবি করছেন।
এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক শামছুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, স্কুল শুরু থেকে আমি শিক্ষকতায় বিনা বেতনে চাকুরী করে আসছি,। কমিটির সিদ্ধান্ত মতে আমাকে ১০ হাজার টাকায় বেতন ভাতা পেয়ে আসছিলাম। তবে ২০২০সাল থেকে অদ্য বিধি এপ্রিল মাস পর্যন্ত ৫১ মাসের ৫ লক্ষ ১০ হাজার টাকা প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান চোকদার আমার বেতন বন্ধ করে দেয়।
বেতন নিয়ে তিনির সাথে আমার বিরুধ সুষ্টি হলে প্রায় ৬ মাস পুর্বে স্থানীয় সাংবাদিক নুরুল ইসলামের মাধ্যমে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার সম্পদ কান্তি দাস তালুকদারের সভাপতিত্বে শালিশ বৈঠকের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বিনিময়ে তিন কিস্তিতে বেতনের টাকা পরিশোধ করবেন বলে আমাদের বিরুধ শেষ হয়। তবে এখন পর্যন্ত আমাকে একটি টাকাও প্রধান শিক্ষক পরিশোধ করেননি । তিনি আমার টাকা আত্মসাৎ করতে আমার নামে মিথ্যা গুজব প্রচার করে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন।