তথ্যপ্রযুক্তি

নবীগঞ্জে জেল ফেরত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ

প্রিন্ট করুন

স্টাফ রিপোর্টার: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের স্বস্তিপুর গ্রামে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ মতিউর রহমান চৌধুরী  উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মতিউর রহমান চৌধুরীর ৮লক্ষ টাকা আত্মসাতের মামলায় সদ্য জেল ফেরত প্রধান শিক্ষিকা আছমা খাতুনের বিরুদ্ধে এবার গত ২০ ফেব্রুয়ারী -২০২৪ ইং তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড  সিলেট ও গত ১৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার  সহ বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক অনিয়ম দূর্নীতির লিখিত পৃথক অভিযোগ দায়ের করছেন স্থানীয় গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, অভিভাবক মহল সহ অত্র প্রতিষ্ঠানের   ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী বৃন্দ ৷ এরই প্রেক্ষিতে ছাত্র, জনতা ও অভিভাবক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে৷
অভিযোগে উল্লেখ: ওই উপজেলার মতিউর রহমান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আছমা খাতুন নিয়োগ প্রাপ্তির পরপরই নানান অনিয়ম, দূর্ণীতির মাধ্যমে তাহার মনগড়াভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করে যাচ্ছেন৷ তিনি বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়েও হাজিরা বহির মধ্যে দস্তখত করেন,এবং বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় তিনি ছাত্র/ছাত্রী ও অভিভাবকদের সহিত খারাপ আচরণ করেন৷ এছাড়াও ভর্তি বানিজ্য তাহার নৈমিত্তিক কাজ,যাহা এলাকার লোকজন অন্যান্য শিক্ষক ও ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বারংবার অবহিত করেন৷ ওই প্রধান শিক্ষিকা ছাত্র/ছাত্রীদের নিকট হইতে কিছু টাকা রশিদে এবং কিছু টাকা বিনা রশিদে আদায় করেন৷ এছাড়াও শেভরন বৃত্তির হাজার হাজার টাকা তিনি দূর্ণীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করিয়াছেন৷ এতেও শেষ নয়! তিনি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের সাথে সর্বদা খারাপ আচরণ করেন৷ এদিকে মতিউর রহমান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্টাতা সভাপতির ৮লক্ষ টাকা আত্মসাত করিলে  গত ২০ জুন ২০২৩ ইং তারিখে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এঁর নির্দেশে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়৷ পরবর্তীতে এফ ডি আর এর ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার আরেকটি মামলা তার বিরুদ্ধে চলমান রযেছে,এবং ওই বিতর্কিত শিক্ষিকা কর্তৃক ৮ম,৯ম ও ১০ম শ্রেণির রেজিঃ ফরম পূরণ বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় সহ গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে৷ এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকার মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি কল রিসিভ করেননি৷ এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুপ কুমার দাস ( অনুপ) বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্তের জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশ দিয়েছি তদন্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷


Related Articles

Back to top button
Close