বানিয়াচংয়ে আইপিএলকে ঘিরে উড়ছে কোটি কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার:-হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ক্রিকেট আইপিএলকে ঘীরে অনলাইন জুয়ায় উড়ছে কোটি কোটি টাকা।জুয়ায় হেরে গিয়ে অনেকে হচ্ছেন মাদকাসক্ত।
আবার সহায় সম্বল বিক্রি করে কেউবা হয়েছেন দেশান্তর।
আর এসব বিষয়ের সূত্র ধরে বানিয়াচং উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পাড়া মহল্লায় দিন দিন দাঙ্গা হাঙ্গামা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দীর্ঘ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে কিভাবে অনলাইন বেটিং ওয়েবসাইট দিয়ে শত শত যুবকের মাধ্যমে জুয়া খেলা পরিচালনা করা হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়,উপজেলার ১নম্বর ইউনিয়নের পূর্ব তোপখানা গ্রামের প্রবাসী লুকু মিয়ার পুত্র নাঈম উদ্দিন এবং একই এলাকার খালিক মিয়ার পুত্র আল আমিন মিয়া মিলে
যৌথভাবে মাস্টি.কম (masti.com) নামে একটি অনলাইন বেটিং সাইটের এজেন্ট এনে পরিচালনা করে যুবসমাজকে আইডি বানিয়ে দিয়ে জুয়া পরিচালনা করে আসছে।তাদের অধীনে ১০০ যুবক রয়েছে বলে মুঠোফোনে স্বীকার করেন এজেন্ট আল আমিন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক এক বেটিং খেলোয়ার জানান,আমি দীর্ঘদিন অনলাইন জুয়া বেটিংয়ে ক্রিকেট ফুটবল খেলায় লাখ লাখ টাকা হেরে এখন পথের ফকির।এই খেলায় না যেতে সহপাঠীসহ অনেককে তিনি বারন করেছেন।কিভাবে খেলা পরিচালনা করা হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন,এজেন্টদের মাধ্যমে একাউন্ট খুলতে হয়,তারপর এজেন্টদের কাছ থেকে ডলার ক্রয় করে খেলায় বাজি ধরতে হয়। খেলায় জিতলে এজেন্টরাই ডলার ক্রয় করে তাদের নগদ টাকা বুঝিয়ে দেন বলে বর্ননা করেন তিনি।
এজেন্ট আল আমিন ও নাঈমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে,তারা জানান,একজন অনলাইন বেটিং সাইটের বেতনভূক্ত কর্মী এবং অপরজন বলছেন,এগুলো বহু আগেই আমরা ছেড়ে দিয়েছি।
অনলাইন জুয়ার বিষয়ে বানিয়াচংয়ের বিভিন্ন পাড়া মহল্লার পঞ্চায়েত ব্যাক্তিদের সাথে আলাপকালে জানা যায়,অনলাইন জুয়ায় হেরে অনেকে এখন রাস্তার ফকির।কেউ ঋণের কবলে পড়ে বাড়িঘর ছাড়া।আবার অনেকে মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন।তবে এসব অনলাইন জুয়ায় লাভবান হচ্ছেন এজেন্টরা।তাদের কোন লোকসান নেই।তারা ডলার লেনদেনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।
জুয়ার কারণে পাড়া মহল্লায় দাঙ্গা হাঙ্গামা বৃদ্ধি পাচ্ছে।বানিয়াচংয়ের যুবসমাজকে ধ্বংসকারী এবং জুয়ার এজেন্টদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান তারা।এব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন এগিয়ে আসলে জুয়ার এজেন্টদের দমন করা সহজ হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
(বানিয়াচংয়ে অন্যন্য ক্রিকেট আইপিএলকে ঘীরে অনলাইন জুয়ারীদের অনুসন্ধান চলছে) বিস্তারিত পরের নিউজে।