স্টাফ রিপোর্টার:-হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে নারীকে মোবাইল ফোনে কুপ্রস্তাব দেওয়ায় জীবন আহমেদ লিটন নামে এক স্টুডিও ব্যবসায়ীকে জুতাপেটা করলো দুই নারী।
সে উপজেলার ২নম্বর ইউনিয়নের শেখের মহল্লা গ্রামের মৃত আব্দুল গণি ময়না মিস্ত্রির ছেলে।
মঙ্গলবার(১৪ মার্চ) বেলা ১১.টায় বানিয়াচং সাবরেজিস্টার অফিস সংলগ্ন হাসি ডিজিটাল স্টুডিওতে ওই ঘটনা ঘটে।এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী জানান,মাস খানেক পূর্বে ছবি এবং ভোটার কার্ড ফটোষ্ট্যাট ছাপাতে হাসি ডিজিটাল স্টুডিওতে যান তিনি। এরপর হইতে ওই নারীর মুঠোফোনে যখন তখন কল দিয়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল ওই ব্যবসায়ী।শুধু তাই নয় স্টুডিও মালিক লিটন ওই নারীকে না জানিয়ে তার ছবি এবং আইডি কার্ডের ফটোকপি দিয়ে ওই নারীর নামে পাসপোর্টের আবেদন করেন।মোবাইলে কুপ্রস্তাব এবং পাসপোর্টের বিষয়টি ভূক্তভোগী নারী স্থানীয় খন্দকার মহল্লার তার আত্বীয় অপর এক নারীকে জানান।পরে দুই নারী মিলে মঙ্গলবার ওই ফটো ব্যবসায়ীকে জিঙ্গাসা করতে তার দোকানে যান।সেখানে তর্কবিতর্কের জেরে ওই দুই নারী দ্বারা জুতাপিটুনির শিকার হন ওই ব্যবসায়ী।স্থানীয়রা পরে দুই নারীকে শান্ত করেন।এবিষয়ে মামলা করার কথাও সাংবাদিকদের জানান ভুক্তভোগী নারীরা। অপর একটি সূত্র জানায়,লম্পট ফটো ব্যবসায়ীর প্রকৃত নাম মোঃ লিটন মিয়া।বাবা একজন কাঠ মিস্ত্রি।অভাবের সংসার হওয়ায় তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়ালেখায় তার ইতি টানতে হয়।ছোটবেলা থেকেই বাবার সাথে মিস্ত্রির কাজ করে কিশোর জীবন পার করে। বড় হয়ে তার আপন প্রভাবশালী খালাতো বোনকে বিয়ে করে স্থানীয় বাগ মহল্লায় ঘরজামাই সংসার শুরু করে।পরে বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতিতে যোগ দিয়ে নিজের নাম পাল্টে দেয় সে।তার নতুন নাম হয় জীবন আহমেদ লিটন।তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা জানা লিটন মিয়া সম্প্রতি হবিগঞ্জ সরকারি স্কুলের নামে একটি ভূয়া সার্টিফিকেট তৈরী করে, নিজেকে এসএসসি পাস দাবী করে বিভিন্ন জায়গায় নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বেড়ায়।শুধু তাই নয় সার্টিফিকেটে তার নতুন নাম জীবন আহমেদ লিটন। উল্লেখ্য- ইতিপূর্বেও ওই স্টুডিও ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিলো।যা বিভিন্ন স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। যাবতীয় সকল প্রমাণাদি প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।