শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

বানিয়াচংয়ে বিধবা নারীকে মারপিট ও মামলা দিয়ে হয়রানি

প্রকাশিত হয়েছে -

বানিয়াচং প্রতিনিধি:-বানিয়াচংয়ের গ্যানিংগঞ্জ বাজারে প্রকাশ্যে ছফিনা বিবি(৩৫) নামে এক বিধবা নারীকে মারপিট এবং মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে টেনু মিয়া নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত টেনু মিয়া উপজেলার ৪নং ইউনিয়নের যাত্রাপাশা দক্ষিণ গড়পাড় গ্রামের মৃত রজব আলীর পুত্র।

প্রকাশ্যে মারধোরের ঘটনায় বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই বিধবা নারী।তবে মারধোরের ঘটনায় মামলা দায়েরের ৫মাস পর অভিযুক্ত টেনু মিয়া বিধবা নারীকে অভিযুক্ত করে ভূয়া কাগজাদি দিয়ে আরেকটি টাকা লেনদেনের মামলা করে হয়রানি করে যাচ্ছে।

অভিযোগ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,প্রায় ২বছর পূর্বে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যান বিধবার স্বামী মুছা মিয়া।মারা যাওয়ার পূর্বে ছফিনা-মুছা দম্পতির নিকট হইতে মোটা অংকের টাকা কর্জ নেন অভিযুক্ত টেনু মিয়ার আপন ভাই গ্যানিংগঞ্জ বাজারের কিটনাশক ব্যাবসায়ী আনোয়ার হোসেন এবং একই এলাকার ইন্দ্রজিৎ গংরা।এঘটনায় ইন্দ্রজিৎ গংদের বিরুদ্ধে টাকা লেনদেনের মামলা করেন বিধবা ছফিনা বিবি।মামলা দায়েরের পরপরই ওই বিধবাকে মামলা তুলে নিতে ভাড়াটিয়া হয়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল টেনু মিয়া।
গত ২০২২সালের ১২ অক্টোবর বিকাল ৪.টায় স্থানীয় গ্যানিংগঞ্জ বাজারে উজ্জল রায়ের দোকানে সদাই করতে যান বিধবা ছফিনা বিবি।এসময় মামলা তুলে নেওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে বাজারের শতাধিক লোকজনের সামনে বিধবাকে বেধরক মারপিট শুরু করেন টেনু মিয়া।এসময় গুরুতর আহত নারীকে উদ্ধার করে বানিয়াচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য পাঠান স্থানীয় বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দসহ ব্যবসায়ীরা।
অপরদিকে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রায় ৫ মাস পর অভিযুক্ত টেনু মিয়া একটি জাল স্ট্যাম্প দিয়ে ওই বিধবা নারীর উপর আড়াই লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে বলে একটি মামলা দায়ের করেন।বিধবার উপর এমন মামলায় এলাকায় চলছে গুঞ্জন।

বিধবা ছফিনা বিবি সাংবাদিকদের জানান,টেনু মিয়া একজন নারীলোভী।সে আমাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতো।ইন্দজিৎ গংদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা তুলে নিতে হুমকিসহ আমাকে বাজারে প্রকাশ্যে মারধোর করেছে। সম্প্রতি জালিয়াতি করে আমার উপর টাকা লেনদেনের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে।আমি পরের বাড়িতে কাজ করে সন্তান নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করি।আমি ওই লম্পটের বিচার চাই।

এব্যাপারে ৪নং ইউনিয়নের ৪/৫/৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য দুলেনা বেগম বলেন,টেনু মিয়া আমার স্বামী ছিল।আমাদের দুটি সন্তানও রয়েছে।সে একাধিক নারীর সাথে অবৈধ মেলামেশা করতো।ইতিপূর্বে আমার বিরুদ্ধেও টাকা লেনদেনের মিথ্যা মামলা করেছিল। তার চরিত্র খারাপ হওয়ায় আমি তাকে তালাক দিয়েছিলাম।