মুবিন আত্নহত্যার সংবাদ প্রকাশের ৪মাস পর নিউজ ও ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করেছেন- পিবিআই

হবিগঞ্জের সংবাদ,অনলান ডেস্ক। হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলা সদরের ১নং ইউনিয়নের পুর্ব তোপখানা মহল্লার (কারিগরী হাঠির) মিনহাজ উদ্দিন মুবিন আত্মহত্যার সত্য ঘটনা উন্মোচন করতে স্থানীয় অনলাইন পোর্টালে অনুসন্ধান নিউজ প্রকাশের প্রায় ৪মাস পর সত্য ঘটনা তথ্য সংগ্রহে মাঠে অনুসন্ধান করছেন পুলিশ ব্যুারো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
জানা যায়, মুবিনের মা থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় বিয়ে করেন তার পিতা। সৎ মা সংসারে আসার কিছু দিনের পর মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ে । মাত্রাতিরিক্ত মাদক সেবন করতো মুবিন।তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরি ও মাদকের মামলা রয়েছে। এসব বিষয়ে প্রায়ই বাপ ভাইয়ের সাথে ঝগড়া হতো মুবিনের।
ঘটনার কিছু দিন পুর্বে পারিবারিক কহলের জেরে পিতা পুত্রের মাঝে বাকবিতন্ডায় হয়। এরই জের ধরে ঘটনার দুই দিন পুর্বে ১৯অক্টোবর বুধবার দিবাগত রাত অনুমান সাড়ে নয়টার দিকে মুবিনকে স্থানীয় বড় বাজারের সাবরেজিষ্টার মসজিদের সামনে তার ব্যবহিত মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে মারধোর করে তারই আপন ছোট ভাই রবিন মিয়া । পরদিন বৃহস্পতিবার ফের লাঠিসোটা নিয়ে মুবিনকে মারতে বড় বাজারে মহড়া দেয় তার বাপ চাচারা।প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, ২১ অক্টোবর শুক্রবার ফজর থেকে নামাজ পড়তে শুরু করে মুবিন। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে তার বাপ চাচারা তাদের বাড়িতে বৈঠকের মাধ্যমে মুবিনকে ওই বিষয়ে চাপ প্রয়োগ ও হাত পা ভেঙ্গে দিবে বলে হুশিয়ার করে দেন। এ সময় মুবিন তার বাপ চাচারে পাল্টা জবাদ দিয়ে বলে বাজারে প্রকাশ্য আমাকে মারপিট করলো রবিন এ বিষয়ে কিছু না বলে উলটো আমাকে বিভিন্ন ভাবে গালিগালাজ করো। এ জীবন আর রাখবে না বলে মুবিন গোসল করে পুকুরে যায়। পরে স্থানীয় ২নং মসজিদে জুম্মা নামাজ পড়ে বাড়িতে আসে ।এসময় পরিবারের লোকজনের অগোচরে নিজ ঘরের তীরে ফাঁস দিয়ে জীবনের ইতি টানে ওই যুবক।
অপরদিকে মুবিনের এমন আত্মহত্যার বিষয়টিকে অন্যভাবে মোড় দিতে চাইছেন তার পিতা হারুন রশিদ।পূর্ব বিরোধের সূত্র ধরে পুলিশের কাছে একই এলাকার জৈনক ব্যাক্তির নাম জড়িয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন তিনি। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে হবিগঞ্জের সংবাদ অনলাইন পোর্টালের একজাঁক সংবাদ কর্মী অনুসন্ধান নামে। অনুসন্ধান কালে ছোট ভাই বড় ভাইকে মারপিটের দুইটি সিসি টিভির ফুটেজ হবিগঞ্জের সংবাদ অনুসন্ধান টিমের কাছে ভিডিও টি আসে। পরের দিন মুবিন আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান মুলুকহবিগঞ্জের সংবাদে একটি অনুসন্ধানী নিউজ আপলোড করা হয়। আপলোড পর পরই সংবাদটি সোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়।
এদিকে ঘটনার সূত্র ধরে নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসাতে মুবিনের পিতা হারুনুর রশিদ অবৈধ ফায়দা হাসিলের আসায় মুবিন আত্মহত্যা করলেওনিহতের পিতা বড়বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক আলামিনকে দায়ী করে তার ছেলে আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী দাবী করে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। যাহার নং সিআর (৫১/২২)। বিঞ্জ আদালত সিআর মামলাটি পুলিশ ব্যাুরো অফ ইনভেস্টিগেশন পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এস আই আব্দুল মালেক ইতিমধ্যে বানিয়াচংয়ে ২ বার এসে তদন্তের সময় হবিগঞ্জের সংবাদের নিউজ কফি ও স্থানীয় বড় বাজার থেকে সিসি টিভির ফুটেজ উদ্ধার করেছেন বলে সূত্র জানান।