দেশজুড়েবানিয়াচং

বানিয়াচংয়ে ইউপি চেয়ারম্যান এবং মহিলা মেম্বারের মধ্যে হাতাহাতি

প্রিন্ট করুন

স্টাফ রিপোর্টারঃ- বানিয়াচংয়ে এক ইউপি চেয়ারম্যান ও মহিলা মেম্বারের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।বানিয়াচং উপজেলার ১৩ নম্বর মন্দরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ শামসুল হক ও একই ইউনিয়নের ২ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের সদস্য ফাহিমা আক্তারের মধ্যে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

বুধবার(২৫ জানুয়ারি)বিকাল ৩টায় বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা দেখতে পান এলাকাবাসীরা।এই ঘটনার সময় পথচারীরা হস্তক্ষেপ করে দু‘জনকে নিবৃত্ত করেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ইউপি নির্বাচনের পরপরই ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি শেখ শামসুল হক ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফাহিমা আক্তারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য উপজেলা পরিষদ থেকে বের হয়ে মাঠের মধ্যে এসে অশ্লীল গালিগালাজে লিপ্ত হন।এসময় মহিলা সদস্য চেয়ারম্যানের গালি সহ্য করতে না পেরে চেয়ারম্যানের শার্টের কলার চেপে ধরেন এবং উভয়ই হাতাহাতিতে লিপ্ত হন।ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শী স্থানীয় চায়ের দোকানদার সেবক চন্দ্র দাশ জানান,উভয়ের মধ্যে গালিগালাজ ও উচ্চবাচ্য হয়। এক পর্যায়ে তারা একে অপরের গায়ে হাত তুলেন।এব্যাপারে নারী ইউপি সদস্য ফাহিমা আক্তার জানান, নির্বাচনে পাশ করে আসার পর থেকেই চেয়ারম্যান আমাকে নানান ব্যাপারে কটাক্ষ করেন।
আমি কেন চশমা পরি,কেন বোরকা পরি।এমন কি তিনি আমাকে আকারে ইঙ্গিতে কুপ্রস্তাব দেন। আজ উপজেলায় এসেছিলাম একটি গ্রাম্য বিরোধ নিস্পত্তির জন্য।এখানেও তিনি আমাকে কটাক্ষ করেছেন।এমন কি উপজেলার বাইরে আসার পর অশ্লীল গালিগালাজ করেছেন। আমি এর বিচার চাই।এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শামসুল হকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ বলেন,ইউপি চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য‘র মধ্যে বিরোধের বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।


Related Articles

Back to top button
Close