দেশজুড়েবানিয়াচং

বানিয়াচংয়ের মজলিশপুরে রাজাকারের উপদ্রব!!

প্রিন্ট করুন

স্টাফ রিপোর্টারঃ-ষাটোর্ধ্ব ফাতেমা বিবি। হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ১নং ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি অসহায় সম্বলহীন একজন বৃদ্ধা নারী।এক পুত্র সন্তানের জননী তিনি।স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলেকে নিয়েই তার অভাবের সংসার।সম্পদ বলতে সাড়ে চার শতকের একটি বসতভিট ছাড়া আর কিছুই নেই।অথচ একমাত্র মাথা গোজার শেষ ঠিকানা নিজের বসতভিটা থেকে তাকে উচ্ছেদ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একই এলাকার এশাই উল্লার পুত্র প্রতিবেশী প্রভাবশালী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল মালিক।একের পর এক ওই নারীর উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন তিনি।জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বৃদ্ধা নারীর সাড়ে চার শতক ভূমি থেকে বিগত আরএস জরিপে ৫০ অযুতাংশ জায়গা সুকৌশলে নিজের নামে রেকর্ড করে নিয়েছেন তিনি।এতেও উনার পেট ভরেনি,এবার তিনি ওই নারীর বাড়ির উপর প্রাচীর তৈরীর মাধ্যমে ৮১ হাত লম্বা চলাচলের সড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে দিয়েছেন।নতুন করে বানিয়াচং থানায় আরেকটি সাজানো মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন।শুধু তাই নয় এবার তিনি নব পন্থায় স্থানীয় ইলিয়াছ মিয়া নামে এক রাজাকারকে লেলিয়ে দিয়েছেন।রাজাকার ইলিয়াছ এখন ওই বৃদ্ধাকে হাত পা ভেঙে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।একদিকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী রাজাকার ইলিয়াছ
অপরদিকে ভূমিদস্যু আব্দুল মালিক বাহিনী।এদের সাথে বৃদ্ধ বয়সে সংগ্রাম করে কাটছে বৃদ্ধা ফাতেমা বিবির দিন।ভাবতে অবাক লাগে স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও রাজাকার ইলিয়াছদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে দেশের মানুষ।এজন্যই কি ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময় স্বাধীন দেশ পেয়েছিলাম?নাকি আবারো যুদ্ধ হবে রাজাকার ইলিয়াছদের নিধনকল্পে?আবারও কি হবে রক্তের খেলা?নাকি ইলিয়াছদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন প্রশাসন,দেখার অপেক্ষায় রইলাম।বৃদ্ধা ফাতেমা এবার রাজাকার ইলিয়াছদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন।সেই যুদ্ধ তিনি দেশের প্রশাসনকে সাথে নিয়ে অকুতোভয় সৈনিকের ন্যায় চালিয়ে যেতে চান।তাইতো তিনি রাজাকার ইলিয়াছ এবং ভূমিদস্যু আব্দুল মালিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ২১ডিসেম্বর বুধবার প্রতিকার চেয়ে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।অভিযোগে তিনি উপরোল্লিখিত কথাগুলোসহ রাজাকার ইলিয়াছ সম্পর্কে লিখেছেন বিভিন্ন অপকর্মের কথা।১৯৭১ সালে রাজাকার ইলিয়াছ পাকিস্তানি পাক হানাদার বাহিনীর সহযোগী হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে।রাজাকার ইলিয়াছ স্থানীয় আব্দুল বারী হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত ছিল।সে বিএনপি জামাতের শাসনামলে স্থানীয় হাজী আব্দুল হক এবং তুফাজ্জল আলীসহ বঙ্গবন্ধুর ভক্তদের বিরুদ্ধে মিথ্যা এসিড মামলা দায়ের করেছিল।যা পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।রাজাকার ইলিয়াছ জিআর ০৫ খুনের আসামি নুর মাম্মদ গংদের বাংলাদেশ সরকারের ১নং খতিয়ানের খাল রকম একাধিক ভূমি ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে দখল নিতে সহযোগীতা করেছে। স্থানীয় মজলিশপুর গ্রামের জাহের মিয়া,মর্তুজ আলী,তৌফিক মিয়া জানান,মজলিশপুর গ্রামে বৃদ্ধা নারী ফাতেমা বিবির বসত বাড়ি দখল নিতে ওই এলাকার প্রভাবশালী আব্দুল মালিক এবং ওই এলাকার ৭১ এর রাজাকারদের নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরী করা হয়েছে।বৃদ্ধাকে হুমকি ধামকিসহ একাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে ওই চক্রটি।বলতে গেলে বানিয়াচংয়ের মজলিশপুরে রাজাকারদের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। ভুক্তভোগী বৃদ্ধা ফাতেমা বিবি গণমাধ্যমকে জানান,আমি একজন অসহায় নারী।আমাকে ভিটেমাটি ছাড়া করতে উঠে পড়ে লেগেছে রাজাকার ইলিয়াছ এবং ভূমিদস্যু আব্দুল মালিক বাহিনী।আমার চলাচলের সড়কে বাধা প্রদান করছে।একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করে চলছে। শুধু তাই নয় তাদের ইন্দনে মহান বিজয়ের মাসে আমাকে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে মজলিশপুর গ্রামের রাজাকার ইলিয়াছ।তাই প্রতিকার চেয়ে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।


Related Articles

Back to top button
Close