দেশজুড়ে

নবীগঞ্জে দুই পরিবারকে সমাজচ্যুত ঘটনয়-ইউএনও বরাবর অভিযোগ

প্রিন্ট করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের ফুটারমাটি গ্রামের মাতব্বরা গ্রামের দু’টি অসহায় পরিবারকে সমাজচ্যুত করে রেখেছে,শুধু তাই নয় এ বিষয়ে ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করায় উল্টো মাতব্বরদের প্রাননাশের হুমকিতে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বাদী আব্দুল মোছাব্বির টুনু মিয়া ও তার লোকজন, অভিযোগ নির্যাতনের শিকার পরিবারের লোকজনের৷ এঘটনায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন৷ অভিযোগে উল্লেখঃ ওই গ্রামের
জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লি আখলিছ মিয়ার নাতিন জামাইর কাছে কাঠাল বিক্রির টাকা চাওয়ায় আব্দুর মোছাব্বির টুনু মিয়া (৬০) ও কাইয়ুম মিয়া (৫৫) কে পঞ্চায়েতের মাতব্বরা এক ঘরে করে সমাজচ্যুত করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, মাতব্বর কুয়াজ উল্লা ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে একই গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের পুত্র আব্দুল মুছাব্বির টুনু মিয়া ইউএনও বরাবর ৬ অক্টোবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়- ৪ মাস পূর্বে ফুটারমাটি গ্রাম্য জামে মসজিদের কাঁঠাল ৪৫০ টাকায় ক্রয় করেন আখলিছ মিয়া নামের এক মাতব্বর, গত ১০ অক্টোবর আব্দুল কাইয়ুম নামের মুসল্লি সেই টাকা পরিশোধ করতে বললে সে উত্তেজিত হয়ে আব্দুল মুছাব্বির টুনু ও আব্দুল কাইয়ুমকে নানা হুমকি ধামকি প্রদান করে। পরে কোয়াজ উল্লা মসজিদের মাইকে দিবালোকে প্রচার ও প্রকাশ করে উক্ত পঞ্চায়েতের লোকজনকে মসজিদের সামনে জড়ো করেন। সেখানে কোয়াজ উল্লার নির্দেশে পঞ্চায়েতের লোকজনকে নিয়া একটি মিটিং করে অনিয়মের প্রতিবাদকারী ওই ২টি পরিবারকে পঞ্চায়েত থেকে বের করে দেয় এবং একঘরে করে সমাজচ্যুৎ করে রাখেন।
এছাড়াও ফুটারমাটি জামে মসজিদে, রাস্তাঘাটে, হাট বাজারে সরকারী রাস্তা ব্যবহার নানকরতেও ওই ২টি পরিবারকে বাধা নিষেধ প্রদান করেন, পঞ্চায়েত পক্ষের কথিত মাতব্বররা। এরপর থেকে তারা মসজিদে যাওয়া সহ গ্রামের রাস্তাঘাটে চলাফেরা করার সাহস পাচ্ছেনা। উল্টো অভিযোগ দেয়ায় দু’টি পরিবারের লোকজন ঘরবাড়ী ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন৷ এদিকে এ ঘটনাটির সূত্রপাতে বেগতিক অবস্থা দেখা দিলে
গত ৪ রভেম্বর ৯৯৯ এ কল করলে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ফুটারমাটি গ্রামে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আব্দুল মুছাব্বির টুনু ও আব্দুল কাইয়ুমকে উদ্ধার করে আনেন। তারপরও বিবাদীরা লোক-মুখে প্রচার করে যে, তাদের ২টি পরিবারের লোকজনকে গ্রামে অবাদে চলাফেরা করতে দিবে না। গ্রাম থেকে তাদেরকে বিতাড়িত করো সহ নানা হুমকি দিচ্ছে। পরে নিরুপায় হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে আরো ক্ষেপে যায় মাতব্বররা৷ সমাজচ্যুত আব্দুল কায়ূম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, তার স্ত্রী ৬ সন্তানের জননী খুবই অসুস্থ, তবে মাতব্বরদের বাঁধার মুখে হাসপাতালে নিতে পারছেননা৷ এভাবে যাচ্ছে তাদের দিনকাল৷
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরিয়ার বলেন- অভিযোগ পেয়েছি, তবে তদন্ত অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে৷


Related Articles

Back to top button
Close