বানিয়াচংয়ে পারিবারিক কলহের জেরে যুবকের আত্মহত্যা!! এলাকায় ধুম্রজাল

স্টাফ রিপোর্টারঃ-হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে মিনহাজ উদ্দিন মুবিন (২৫)নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে।
এনিয়ে এলাকায় ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বাদ জোহর উপজেলার ১নং ইউনিয়নের পূর্ব তোপখানার কারিগর হাটিতে এঘটনা ঘটে।নিহত যুবক ওই এলাকার হারুন রশিদ মিয়ার পুত্র।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ওইদিন সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়,মুবিনের মা মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন তার পিতা।সৎ মা সংসারে আসার পরই মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ে সে। মাত্রাতিরিক্ত মাদক সেবন করতো মুবিন।তার বিরুদ্ধ একাধিক চুরি ও মাদকের মামলা রয়েছে।এসব বিষয়ে প্রায়ই বাপ ভাইয়ের সাথে ঝগড়া হতো তার।মাদক সেবনের কারনে গত বুধবার রাতে মুবিনকে স্থানীয় বড় বাজারের সাবরেজিষ্টার মসজিদের সামনে মারধোর করে তারই আপন ছোটভাই রবিন।পরদিন বৃহস্প্রতিবার ফের লাঠিসোটা নিয়ে মুবিনকে মারতে বড় বাজারে মহড়া দেয় তার বাপ চাচারা।
একদিন আত্মগোপনে থাকার পর শুক্রবার ফজর থেকে নামাজ পড়তে শুরু করে মুবিন।ঘটনার দিন স্থানীয় ২নং মসজিদে জুম্মা নামাজ পড়ে বাড়িতে আসে সে।এসময় পরিবারের লোকজনের অগোচরে নিজ ঘরের তীরে ফাঁস দিয়ে জীবনের ইতি টানে ওই যুবক।
অপরদিকে মুবিনের এমন আত্মহত্যার বিষয়টিকে অন্যভাবে মোড় দিতে চাইছে তার পিতা হারুন রশিদ।পূর্ব বিরোধের সূত্র ধরে পুলিশের কাছে একই এলাকার জৈনক ব্যাক্তির নাম জড়িয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন তিনি।এনিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বড় বাজার ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন,মুবিনকে মারপিঠ করেছিলো তার আপন ভাই রবিন এবং তার বাপচাচারা।বিষয়টি বাজারের ব্যবসায়ীরা আমাকে অবগত করেছেন।হয়তো একারণেই পরিবারের লোকজনের উপর অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।
এব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ অজয় চন্দ্র দেব হবিগঞ্জের সংবাদকে বলেন,ময়না তদন্তের পর পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।তবে এবিষয়ে থানায় এখনও কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।নিহত মুবিন মাদকাসক্ত ছিলো এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান তিনি।