দেশজুড়ে

নিখোঁজের ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো ফয়েজের সন্ধান পাওয়া যায়নি

প্রিন্ট করুন

স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামের মৃত আরজু মিয়ার ছেলে মোঃ ফয়েজ আহমদ (২৩) ও বাদে রায়ঘর গ্রামের আতা মিয়ার ছেলে, জাকির হোসেন (২৫) নামের দু’বন্ধু একসাথে গত ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার, রাত ৮টার দিকে বাড়ী থেকে মার্কুলি বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। রাত ১২টার দিকে জাকির তার বন্ধু ফয়েজের বড় ভাই কয়েছ আলী ইমনকে নিখোঁজের সংবাদ জানায়।


পরদিন শনিবার সকালে বলে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে, ফয়েজ কোন দিকে পালিয়ে গেছে তাকে খোজে পাওয়া যাচ্ছেনা। তোমরা মার্কুলি, রতনপুর, এসো আমি হাওয়রে আছি। তাৎক্ষণিক জাকিরের দেয়া তথ্যমতে সেখানে গিয়ে ফয়েজের জুতা জোড়া ও মোটরসাইকেল পাওয়া যায় এক বাড়ীতে কিন্তু ফয়েজকে পাওয়া যায়নি। এরপর থেকেই জাকির হোসেন তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যায়। এদিকে পুলিশের দেয়া তথ্য সূত্র জানায়, জাকির মার্কুলি গেলেও ফয়েজ কিন্তু যায়নি, জাকিরের ভিন্ন ভিন্ন তথ্য ও লুকোচুরি খেলায় ফয়েজের পরিবার সন্দেহ করছেন টাকা অথবা অদৃশ্য কারণে ফয়েজকে জাকির ও তার ভাগিনার সহযোগিতায় গুম করেছে দুষ্কৃতিকারীরা৷ এদিকে নবীগঞ্জ থানায় তাদের দু’টি পরিবারিই নিখোঁজের জন্য সাধারণ ডায়েরীভুক্ত করেছেন। অন্য দিকে ফয়েজের ভাই কয়েছ আলী ইমন বানিয়াচং থানায় জাকির হোসেন ও তার ভাগিনা সহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে আরো একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এঘটনায় নিখোঁজের ১৩দিন অতিবাহিত হলেও
পুলিশ প্রশাসন তৎপর না হওয়ার কারণে আসামী এবং নিখোঁজের সন্ধান মিলছেনা বলে অভিযোগ করেন নিখোঁজের বড় ভাই কয়েছ আলী ইমন। তিনি আরো বলেন, তার ভাই নিখোঁজের পরথেকে তাদের পরিবার/পরিজন তার মা’সহ পরিবারের সবারই আহার নিদ্রা নেই,সবাই নিখোঁজ ফয়েজের জন্য অজানা আতংকে দিনাতিপাত করছেন৷ তাই নিখোঁজ ফয়েজের বন্ধু জাকিরকে গ্রেফতার করলেই ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হবে এবং ফয়েজের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে দাবী করেন নিখোঁজের পরিবারের লোকজন৷


Related Articles

Back to top button
Close