নিজ অর্থায়নে ভাঙ্গা সড়ক সংস্কার করলেন ব্যবসায়ীরা

সুজন মিয়া/ সাজ্জাদ বিন লাল, বানিয়াচং থেকে। হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পাঁচ লাখ টাকা ব্যায়ে মার্কুলী টু নবীগঞ্জ সড়কের ১৪ কিঃ পর্যন্ত রাস্তার ভাঙ্গা সংস্কার করলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের এমন মহতি উদ্যোগের ফলে প্রশংসায় ভাসছেন তারা।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংস্কারের পর যানবাহন ও জনসাধারণ চলাচলের দৃশ্য দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, মার্কুলী টু নবীগঞ্জ ৩৫ কিঃ মিটারের পিচঢালা সড়ক।ওই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন শাল্লা সুনামগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার মানুষ।সিলেটে বন্যার যখন ভয়াবহ পরিস্থিতি তখন ভাসা পানির বন্যায় হাওরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া সড়কটি ডুবে যায়।
বর্তমানে পানি শুকিয়ে গেছে, তবে সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত এবং খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

ফলে এলাকাবাসীর চলাচল ও যানবাহন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অবগত করা হয়েছে বারংবার।তাতেও কোন ফল হয়নি।পরে স্থানীয় ৫নং দৌলতপুর ইউনিয়নের মার্কুলী বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মশিউর রহমান সড়কের ভাঙ্গা সংস্কার করতে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং কয়েকজন ব্যবসায়ীদের নিয়ে পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় করে সড়কের ১৪ কিঃ মিঃ পর্যন্ত ভাঙ্গা ও একটি ব্রীজ সংস্কার করে লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের সুযোগ করে দেন। অপরদিকে সড়ক দিয়ে সাধারন মানুষ ও যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় ব্যবসায়ীদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

এব্যাপারে সড়ক সংস্কারের প্রধান উদ্যোক্তা মশিউর রহমান জানান,খানাখন্দের কারনে দীর্ঘদিন যাবত ওই সড়কটি দিয়ে সাধারণ মানুষ ও যান চলাচল বন্ধ ছিলো।কয়েক দফা প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলাপ করেও কোন আশানুরূপ উত্তর পাইনি।পরে নিজেই তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিয়ে মার্কুলী প্রবেশ মূখ হতে ফারাম বাজার খায়ের ভাঙ্গা ব্রীজ, নতুন বাজার,সোনাপুর,
জগন্নাথপুর,ফতেহপুরসহ সড়কের প্রায় নয়টি স্থান ১৪ কিঃ পর্যন্ত পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে বিশাল খানাখন্দ ও ভাঙ্গার সংস্কার করেন।সংস্কার কাজে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেন,বালার হাট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান,দৌলতপুর থেকে ব্যবসায়ী মশিউৱ ৱহমান,ফারুক মিয়া,জগন্নাথপুর বাজারের ব্যবসায়ী পৱীন্দ্র দাস, সোনাপুর বাজারের ব্যবসায়ী লিটন দাস, হলিমপুর বাজারের ব্যবসায়ী স্বপন দাস,মানিক মিয়াসহ আরো অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।