দেশজুড়ে

রামনাথ বিশ্বাসকে যখন বাংলাদেশ ভুলে যায়- ইমদাদুল হোসেন খান

প্রিন্ট করুন

রামনাথ বিশ্বাসকে যখন বানিয়াচংসহ গোটা বাংলাদেশের মানুষ ভুলে গিয়েছিলেন তখন নতুন করে পরিচিত করেছিলেন এই মানুষটি। তাঁর নাম টিপু চৌধুরী। তিনি বানিয়াচং উপজেলার বাগজুর গ্রামের সন্তান। হবিগঞ্জের এই জেষ্ঠ সাংবাদিক বানিয়াচং প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত হাফেজ ছিদ্দিক আহমদের কাছ থেকে রামনাথ বিশ্বাসের গল্প শুনে যখন লেখালেখি শুরু করেছিলেন তখন পত্রিকাওয়ালারা সেসব লেখা ছাপতে আগ্রহী হতেননা! নিজের পকেটের টাকা খরচ করে বাইসাইকেলে বিশ্বভ্রমণকারী বানিয়াচংয়ের কৃতিসন্তান রামনাথ বিশ্বাসকে নিয়ে লেখা অনুসন্ধানী লেখাগুলো পত্রিকায় প্রকাশ করাতে হতো লেখক, সাংবাদিক, টুরিস্ট টিপু চৌধুরীকে! বিস্মৃতির অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হতে হতে অপাংক্তেয় হয়ে যাওয়া রামনাথ বিশ্বাসকে এভাবেই তুলে নিয়ে আসেন টিপু চৌধুরী। এখন রামনাথের কদর সর্বত্র। রামনাথকে নিয়ে পত্রিকাওয়ালারাসহ কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো এখন রীতিমতো বানিজ্য করে, কিন্তু টিপু চৌধুরীর অবদানকে তুলে ধরে না! কারণ টিপু চৌধুরীরা নিভৃতচারী, ভদ্র; নিরীহ গোছের প্রাণী! নাহলে টিপু চৌধুরীর সারাজীবনের সমস্ত কর্মকান্ডকে বাদ দিলেও হারিয়ে যাওয়া রামনাথকে নতুন প্রজন্মের কাছে এভাবে পরিচিত করার জন্যই কেবল রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত করা উচিত। কিন্তু গতকাল বানিয়াচং শহীদ মিনারের সমাবেশে তিনি যখন আসলেন তখন তাঁর মতো লোককে দুই মিনিট মাইকে কথা বলার জন্য পর্যন্ত আহবান করা হয়নি! অথচ তিনি রামনাথ বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে সাংগঠনিকভাবেও দেশে-বিদেশে রামনাথকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনিও সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। যারা ঢাকায় বসবাস করে কাজ করেন অবস্থানগত কারণে হয়তো তাদের নামডাক আছে। কিন্তু মফস্বল শহর হবিগঞ্জে পড়ে থাকা টিপু চৌধুরী আপনাদের চেয়ে কোন অংশেই কম নন।
উচিত কথা বলার এবং লিখার অভ্যাস তাই না লিখে পারলাম না, কারও গা জ্বললে কিচ্ছু করার নেই।
রামনাথ বিশ্বাস অমর হোক, টিপু চৌধুরী দীর্ঘজীবী হোন!!


Related Articles

Back to top button
Close