দেশজুড়ে

শ্রীমঙ্গলে বৈদ্যুতিক সট সার্কিট থেকে আগুনে পুড়লো দোকান-কেড়ে নিল ঈদের আনন্দ

প্রিন্ট করুন

রুবেল আহম্মদ মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে হবিগঞ্জ রোডস্হ শহরতলীর উত্তরসুর দ্বারিকাপাল মহিলা কলেজের পাশে আগুন লেগে কয়েকটি দোকান পুড়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত (২ মে)সোমবার সকাল ৮ ঘটিকায় আবুল কাশেম মিয়ার চায়ের দোকান হতে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা পাশের ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে পাশের ঘরগুলোতে রাখা সমস্ত মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া বলেন যে আমি সোমবার সকালে ৮ ঘটিকার সময় কাসেম মিয়ার চায়ের দোকানে উপর দিয়ে আগুন ও কালো ধোঁয়া দেখা যায় সাথে সাথে এলাকার সবাইকে ডাকতে থাকি যে কাসেম চাচার দোকানে আগুন লাগছে। আমার ডাকশুনে সবাই এসে আগুন নিভানোর জন্য এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকে। পরে একে একে সব দোকানে আগুন ছড়িয়ে যায়।
খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ২ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে ৫টি দোকান পুড়েছাই হয়ে গেছে। পুড়েছাই হওয়া দোকান মালিকরা হলেন আবুল কাশেম মিয়ার স্টেশনারী ও চায়ের দোকান, আবুল কালাম মিয়ার ফার্নিচারের দোকান, রন্টু পালের স্টেশনারী দোকান, মৃত্যুঞ্জয় পালের মুদি দোকান।
আগুনে আবুল কাশেমের আনুমানিক ৫ লক্ষ, কালাম মিয়ার ৭ লক্ষ, রন্টু পালের ৬ লক্ষ, মৃত্যুঞ্জয় পালের ১ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হয়েছে।
খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভানুলাল রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা পরিষদের তহবিল হতে আবুল কাশেম, কালাম মিয়া,রন্টু পালকে ৫ হাজার টাকা করে সহযোগিতা করেন।
শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড পরিষদ সদস্য মোঃনুরুল আমিন ও মোঃদুধু মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
দোকানে আগুন লাগার কারন জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল ফ্যায়ার সার্ভিস ষ্টেশনে দায়িত্ব থাকা ব্যক্তি ফরহাদ উদ্দিন
বলেন আমরা প্রাথমি তদন্ত থেকে ধারনা করছি যে বৈদ্যুতিক সট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে।


Related Articles

Back to top button
Close