শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নবীগঞ্জের বড়চর গ্রামে ঘরবাড়িতে হামলা ভাংচুর করে লুটপাটের অভিযোগ

প্রকাশিত হয়েছে -

স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউম্দা ইউনিয়নের বড়চর গ্রামে একটি অসহায় পরিবারের ঘরবাড়িতে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে৷
এঘটনায় এলাকায় সচেতন মহলের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন খোলা আকাশের নীচে৷
অভিযোগে উল্লেখ ও হয়রানির শিকার ওই গ্রামের মখলুদ আলীর পুত্র অসহায় সাইদুর রহমান জানান, তাঁর পিতৃ সম্পদ, জায়গা জমি নিয়ে তারই আপন বড় ভাই দুবাই প্রবাসী আঃ মোছাব্বির এর পুত্র নুরুল আমীন, ফখরুল আমীন গংদের সাথে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিল, এরই জেরধরে গত ১৮ এপ্রিল সোমবার সকালে পূর্ব পরিকল্পিত অনুযায়ী সাইদুর রহমানকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্য হামলার চেষ্টা করলে স্থানীয়দের সহায়তায় অল্পের জন্যে প্রাণে রক্ষা পান৷ এঘটনায় গত ২৪ এপ্রিল হবিগঞ্জ বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন৷
উক্ত মামলার সংবাদ পেয়ে তারই ভাতিজা নুরুল আমীন সহ তাদের পক্ষের লোকজন মিলে সাইদুর রহমানের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটকরে নিয়েছেন বলে সাইদুর রহমান জানান৷ তিনি আরে বলেন তারা ৬ ভাই ৩ বোন,এর মধ্যে সবার বড় দুবাই প্রবাসী আঃ মোছাব্বির, তার পিতা মখলুদ মিয়াকে তার বড় ভাইয়ের হেফাজতে নিয়ে ও আঁতাত করে তার সমস্ত পিতৃ সম্পদ মোছাব্বিরের নামে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে রেকর্ড করেছেন,তাদের আর কোনো ভাই অথবা বোনকে সম্পদের কোনো অংশ না দিয়েই সমস্ত সম্পদ আঃ মোছা্ব্বির ও তার সন্তানেরা ভোগ দখল করার চেষ্টা করেন,এবং অনেক সম্পদ বিক্রি করে তারা সিলেট শহরে বসবাস করেন, আলীশান ভাবে৷
পিতৃ সম্পদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন,মখলুদ আলীর ছেলে আলী হোসেন,সাইদুর রহমান,মাহমুদুর রহমান,মকবুল হোসেন,সিদ্দিকুর রহমান ও তাদের ৩ বোন৷ এঘটনায় গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সামাজিক বিচার পঞ্চায়েতের চেষ্টা করিলেও মকলুদ মিয়া,তার নাতি নুরুল আমীন গংরা সালিশ বিচার অমান্য করেন,এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হাফিজুর রহমান,গ্রামের বিশিষ্ট মুরব্বি শাহ্ লাহিদ,জাহিদ মিয়া,আরিফ মিয়া, লেচু মিয়া,শাহ মজুম, মন্নান মিয়া শাহ রাজন আলী সহ উপস্থিত অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও সাইদুর রহমান এবং তারা অন্যান্য ৫ ভাইদের সহিত অবিচার করা হচ্ছে, পিতৃ সম্পদ সমান ভাবে বন্টন করার কথা থাকলেও আব্দুল মোছাব্বির ও তার সন্তানেরা একাই পুরো সম্পদ ভোগ করে আসছেন, এবং তারা সামাজিক বিচার মানেন না ৷ এ ব্যাপারে সাইদুর রহমানের পিতা মখলুদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তার বড় ছেলের নিকট তিনি সমস্ত সম্পদ বিক্রি করে দিয়েছেন৷ এদিকে হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের বিষয়ে আঃ মোছাব্বিরের পুত্র নৃরুল আমীন সমস্ত অভিযোগ ষড়যন্ত্র ও সাজানো বলেও উড়িয়ে দেন তিনি, তবে এই সম্পদ তার দাদার কাছথেকে তারা ক্রয় করে খরিদাসূত্রে মালিক বলেও জানান৷ এ বিষয়ে সাইদুর রহমান আরো জানান,তাদেরকে পুলিশ দিয়েও নানাভাবে ভয়ভীতি ও হয়রানি করছেন প্রতিপক্ষের লোকজন, তারা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন৷ পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আকুল আবেদন করে সুবিচার প্রার্থী হন ভুক্তভোগীরা৷