বানিয়াচংয়ের হাওরে ‘পাতাপোড়া’ রোগের সংক্রমণে বিপাকে রয়েছে কৃষকরা

মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার, বানিয়াচং উপজেলার বিভিন্ন হাওরে চলতি ইরি-বোরো উৎপাদন মৌসুমে শস্য উদ্বৃত্ত জেলার বানিয়াচং উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিস্তীর্ণ হাইব্রিড জাতের বোরো (ধান) ক্ষেতে ব্যাপক হারে ‘ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট’ বা (স্থানীয় ভাষায়) ‘পাতাপোড়া’ রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এছাড়াও কিছু কিছু বোরো ক্ষেতে দেখা দিয়েছে ব্লাস্ট রোগও। যদিও তা ‘পাতাপোড়া’ রোগের মত অত ব্যাপক নয়।
সংশ্লিষ্ট কৃষকদের অভিযোগ আক্রান্ত ক্ষেতে একাধিকবার বালাই নাশক (ছত্রাকনাশক) ছড়িয়েও দিলেও ফল তেমনহচ্ছে না। দমন করা যাচ্ছে না ধান ক্ষেতের ওই ‘পাতাপোড়া’ রোগের সংক্রমণ। ধান গজিয়ে শুরু হবার সময় ক্ষেতে এ ধরনের আকস্মিক সংক্রমণের কারণে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে উপজেলা ৯নং পুকড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ ঘুরে ও কৃষকদের সাথে কথা বলে ধান ক্ষেতে ব্যাকটেরিয়াল লিফ ব্লাইট ও লিফ ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ সম্পর্কিত অভিন্ন চিত্র পাওয়া গেছে। দুর থেকে আক্রান্ত বোরো ক্ষেত দেখলে মনে হয় যেন ক্ষেতের ধান পেকে গেছে। আবার কোনো কোনো ক্ষেতের পাতা পুড়ে যাওয়ার মত দেখা গেলেও প্রকৃত পক্ষে শীষে কোনো ধানই জন্মায়নি। পাতা পুড়ে যাওয়ার এ ধরনের লক্ষণকে ধানের ‘পাতাপোড়া’ বা ‘বিএলবি’ এবং ক্ষেতে ধানের শীষ চিটা হয়ে যাওয়ার লক্ষণকে ‘ব্লাস্ট’ রোগ বলে অভিহিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কৃষি অধিদফতর। ধান পাকা শুরু হবার সময় বোরো ক্ষেতে এ ধরনের আকস্মিক পাতা পোড়া ও ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণে বিপাকে পরবেন কৃষকরা।
এ ব্যাপারে ৯নং পুকড়া ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মহি উদ্দিন জানান, বোরো ধান ফসলের অধিকাংশ জমিতে বিএলবি ও ব্লাষ্ট রোগের আক্রমণ দেখা যাচ্ছে। তাই কৃষক ভাইদের ৮০গ্রাম এমওপি সার+ ৮০ গ্রাম থিওভিট, কুমুলাস ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫ শতাংশ জমিতে ভালো ভাবে স্প্রে করে গাছ ভিজিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।