Unauthorised

বাহুবলে চোরের উপদ্রব।। গরু চোরকে পাকড়াও করে পুলিশে দিয়েছে জনতা

প্রিন্ট করুন

বাহুবল(হবিগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বাহুবলে চোর- ডাকাতের উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন জনসাধারণ। চুরি ডাকাতি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতংক বিরাজ করছে সর্বত্র। সম্প্রতি একাধিক চুরি সংঘটিত হয়েছে উপজেলার কয়েকটি স্থানে। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) গরু চুরির অভিযোগে এক যুবককে পাকড়াও করে পুলিশে দিয়েছেন জনতা। ওয়াহিদ নামের আটক যুবকের দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে চোরাই গরু উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এমনকি শুক্রবার সকাল ১০টায় মুছাই বাজারে চোর ডাকাত দমনে প্রতিবাদ সভার ডাক দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে গরুর মালিক আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত ১৭ নভেম্বর মুছাই এলাকায় তার লেবু বাগানের ঘর হতে দুটি গাভী চুরি হয়। এ ঘটনায় চুনারুঘাটের আখাজুড়া গ্রামের মৃত রইছ উল্লার ছেলে ওয়াহিদ (৩৩)কে সন্দেহভাজন হিসাবে আটক করলে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করে এবং এবং তার সহযোগীদের নাম পরিচয় জনতার সামনে জানায়। পরে তাকে কামাইছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোঃ সেলিম সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক করে নিয়ে যান। এসআই মোঃ সেলিম এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এছাড়া বাহুবল উপজেলার মুগকান্দী গ্রামের জলিল মাস্টারের ভাই সানু মিয়ার গাভী সহ ৩ টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। গত ১৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে দক্ষিণ মুগকান্দী গ্রামের আশিক মিয়ার পানির মেশিন চুরি হয়। ১৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে কোনাগাও জামে মসজিদের মাইক, মেশিন ও ব্যাটারি চুরির ঘটনা ঘটে। এর পরদিন ১৭ নভেম্বর দিবাগত রাতে বিষ্ণুপুর গ্রামের আকল মিয়ার টিউবওয়েলের মাথা চুরি হয়।মাসাধিককাল আগে দক্ষিণ মুগকান্দী গ্রামের প্রবাসী হারুন মিয়ার ভাই পরশ মিয়ার দুটি গরু, নারিকেলতলা গ্রামের কামাল মিয়ার দুটি গরু চুরি হয়।

গত ১৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে প্রবাসী সেলু মিয়া ও আঙ্গুর মিয়ার পরিবারের লোকজনের হাত পা বেঁধে নগদ টাকা, স্বর্নলংকার সহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায় সশস্ত্র ডাকাতরা । সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চোর- ডাকাতের উপদ্রবে সর্বত্র বিরাজ করছে আতঙ্ক। অপরদিকে চোর ডাকাত দমনে মুছাই বাজারে শুক্রবার সকাল ১০টায় প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছেন বাগান মালিকরা।


Related Articles

Back to top button
Close