শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ১৯শে রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

বাহুবলে প্রভাবশালীদের কাছে জিম্মি কৃঞ্চপুরের বাসিন্দারা

প্রকাশিত হয়েছে -


বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি ।। হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার হিন্দু অধ্যুষিত কৃঞ্চপুর প্রকাশিত ধনিয়াখালি গ্রামের বাসিন্দারা প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়ে নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। জনপ্রতিনিধিসহ সামাজিক সালিশ বিচারও তোয়াক্ষা করছেন না প্রবাভশালীরা। গুঙ্গিয়াজুরী হাওরের কিনারায় লামাতাশী ইউনিয়নে অবস্থিত ওই গ্রামের ভুক্তভোগী বাসিন্দারা প্রভাবশালীদের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে ইউএনও বরাবরে আবেদন করেও কোন সুফল পাচ্ছেন না। এতে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে আবদাল মিয়া চৌধুরী ও তার দলবল।
গত ৮ সেপ্টেম্বর বাহুবল ইএনও বরাবর কৃঞ্চপুর (ধনিয়াখালি) গ্রামবাসীর পক্ষ হতে দায়ের করা অভিযোগে জানা যায়, একই গ্রামের মৃত হেকিম উল্লার ছেলে আব্দুল্লা মিয়া, তার ছেলে ছাদেক মিয়া, সম্মন্ধি কাজিহাটা গ্রামের আবদাল চৌধুরী , ছিদ্দিক আলীর ছেলে বিল্লাল মিয়া দলভুক্ত দাঙ্গাবাজ লাঠিয়াল ও পরসম্পদ লোভী লোক। তাদের আচার আচরণে নির্যাতিত কৃষ্ণপুর গ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকজন।
গ্রামের একমাত্র চলাচলের রাস্তা দিয়ে আবেদনকারীগণ পূর্ব পূরুষ হতে ব্যবহার করে আসছেন।

বিভিন্ন সময় সরকারি বরাদ্দে উল্লেখিত রাস্তাটি মেরামতসহ কালভার্ট স্থাপন করা হয়। কিন্তু ২/৩ মাস ধরে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ বাউন্ডারি দিয়ে রাস্তা বন্ধের প্রস্তুতি নেয়। এতে বাধা দিলে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রামবাসীর উপর চড়াও হয়। এসময় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিগণ পরিস্থিতি সামাল দেন। এরপর থেকে বিবাদীরা পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত ছাদেক মিয়ার মাধ্যমে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।

এরপর থেকে তারা চলাচলের রাস্তায় স্থানে স্থানে গর্ত করে চলাচলের অনুপযোগী করে রেখেছে। উক্ত রাস্তা দিয়ে হাট-বাজার, স্কুল কলেজগামী ছাত্র ছাত্রী ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দসহ বিয়ের বরযাত্রীদের চলাচলে বাধা দিচ্ছে। এছাড়াও ধানকাটার সময় আইলে বেড়া দিয়ে এবং রাস্তার পাশে পুকুরের কিনারায় বড় গর্ত করে গ্রামবাসীর চলাচলের সরকারী সলিং রাস্তার ক্ষতির চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলায় চুরি ডাকাতি সহ ঘরবাড়ি পোড়ানোর হুমকি দিচ্ছে আবদাল মিয়া, তার ভাগ্না ছাদেক মিয়া সহ তাদের লোকজন।

এসব বিষয়ে সালিশের মাধ্যমে বিরোধ মিমাংসার জন্য স্থানীয় মুরুব্বিয়ান ও জনপ্রতিনিধিগণ উদ্যোগ নিলেও প্রভাবশালী বিবাদীদের অসহযোগিতার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা দিনদিন এতই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, আবেদনকারীদের মধ্যে মিন্টু গোপকে আবদাল মিয়া ও তার লোকজন রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে শারিরীকভাবে নির্যাতন করে। হিন্দু সম্প্রদায়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে গান-বাজানাও নিষিদ্ধ করেছে তারা। এমতাবস্থায় ওই গ্রামের হিন্দু লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী সজল গোপসহ ২১ ব্যক্তি স্বাক্ষর করেন।

এ ব্যাপারে জানতে বাহুবলের ইউএনওকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম তাহের জানান, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে নিষ্পত্তির চেষ্টা করছেন।
আবদাল মিয়া চৌধুরী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি হিন্দু লোকজনকে সব সময় সহায়তা করে আসছেন।