নবীনগরে সরকারি খাল ভরাট কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে জানালেন এসিল্যান্ড
মোঃ বাবুল, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর বেপীর বাড়ির সরকারি খাল প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও ভূমিদূস্যরা অবৈধভাবে বালু দিয়ে ভরাটে বিষয়টি অবগত হওয়ার পর ভরাট কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এসিল্যান্ড মোশারফ হোসাইন।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, ফসলি জমি তথা সাধারণ মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে ২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মানিক পুলিশের বাড়ির সামনে এই খালে একটি কালভার্ট নির্মাণ করে দিয়েছে বর্তমান সরকার। সাম্প্রতি ২৫ শে আগষ্ট অবৈধভাবে বালু দিয়ে খালটি ভরাটের চেষ্টা করেন খাল সংলগ্ন ভূমি মালিকরা। এবিষয়টি গনমাধ্যমকর্মীরা বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য বক্তব্য নিতে গিয়ে ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন ভূমিকর্মকর্তা শাহ আলম কে প্রাথমিকভাবে অবগত করলে তিনি তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং কেউ যেন সরকারি জায়গা দখল না করেন সেই ব্যাপারি হুশিয়ার করেন ভূমিদূস্যদের। এমনকি গণমাধ্যম কর্মীরা সরকারি খাস জায়গা দখলদারদের বিষয়ে কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে নবীনগর সহকারী কমিশন( ভূমি) মোশারফ হোসাইন কে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান,আমার নায়েব ঘটনাস্থলে গিয়ে ভরাটের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে, যদি পরবর্তীতে ভরাট করার চেষ্টা করে তাহলে আইনি ব্যবস্থা নিব।কিন্তু প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও বৃহস্পতিবার (০২/০৯) পূনরায় অবৈধভাবে বালু দিয়ে সরকারি খালটি ভরাট করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সরকারি খাল সংলগ্ন ভূমিদূস্যরা, গোপন সূত্রে জানা যায় এবিষয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে এমনটা হচ্ছে।
এবিষয়ে সরকারি খাল সংলগ্ন ভূমি মালিকদের বক্তব্য নিতে সরজমিনে গিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে একাধিক ব্যক্তি ক্যামেরার সামনে থেকে দূরে সরে যায়।এদের মধ্যে থেকে পূর্বে অভিযোগ করা সরকারি জায়গার পাশাপাশি তাদের জায়গা জবরদখল করতে চাচ্ছে ভূমিদূসরা এমনই একজন এরশাদ মিয়া প্রবাসে থাকায় তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম বলেন,মেম্বার চেয়ারম্যান ও গ্রামের সবাই বসে জায়গা ভরাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমিও তাদের একজন হিসেবে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করেছি জায়গা ভরাট হলে পানি চলাচলের রাস্তা করে দিব। সরকারি খাল ভরাটের বিষয়ে আমাকে বলা হয়নি।
এবিষয়ে ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মুছা বলেন,আমাকে তারা অবগত করছে পানি চলাচলের রাস্তা রেখে তাদের জায়গা ভরাট করবে।
সরকারি খাল ভরাট করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কি ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে নবীনগর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশারফ হোসাইন মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি জানান, ইতিপূর্বে আমি আমার নায়েব পাঠিয়ে সরকারি খাল ভরাট করতে নিষেধ করে ভরাটের কাজ বন্ধ করে দিয়ে ছিলাম, কিন্তু তারা অফিসিয়াল ছুটির দিনে এই কাজটি করার কৌশল অবলম্বন করেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিব।