শুক্রবার , ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অনলাইন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে

প্রকাশিত হয়েছে -

নিজস্ব  প্রতিবেদক, হবিগঞ্জের সংবাদ।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল  বৃন্দাবন সরকারি কলেজে এক অনলাইন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ ইলিয়াছ বখত চৌধুরী। বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বৃন্দাবন সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ড. মোহাম্মদ আজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায়  সেমিনারে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রধান অতিথি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রমা বিজয় সরকার, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ মাসুদুল হাসান, প্রফেসর দেওয়ান জামাল উদ্দিন চৌধুরী, প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম মল্লিক, সহযোগী অধ্যাপক জিয়া আরেফিন আজাদ। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ তোফাজ্জল আলী এবং “বাঙ্গালির মুক্তি সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব ও স্বাধীন বাংলাদেশের উদ্ভব” শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগর বিভাগীয় প্রধান, সহযোগী অধ্যাপক মুর্শেদা বর চৌধুরী নাজনীন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কেবল একজন ব্যক্তি নন। বঙ্গবন্ধু হলেন একটি পতাকা, একটি মানচিত্র, একটি দেশ, বাঙ্গালি জাতীয়তার একটি  মহাকাব্য, একটি আন্দোলন, জাতি নির্মাণের কারিগরি। একটি বিপ্লব, একটি ইতহাস, বাঙ্গালি  জাতির ধ্রুবতারা, জাতির উত্থান, রাজনীতির কবি, জনগণের বন্ধু, রাষ্ট্রের স্থপতি, স্বাধীনতার প্রতীক, ইতিহাসের মহানায়ক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি। জিয়া আরেফিন আজাদ তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু যে বাঙালির চিন্তা, আবেগের সাথে ঘনিষ্ট সূত্রে জড়িয়ে ছিলেন, তার উল্লেখ করেন।প্রফেসর মোঃ রফিকুল ইসলাম মল্লিক বলেন, ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর আওয়ামীলীগের একটি আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু বলেন, এক সময় এদেশের বুক হইতে, মানচিত্রের পৃষ্ঠা হইতে বাংলা কথাটির সর্বশেষ চিহ্নটুকু চিরতরে মুছিয়া ফেলার চেষ্ঠা করা হইয়াছে। একমাত্র বঙ্গোপসাগর ছাড়া আর কোন কিছুর নামের সঙ্গে বাংলা কথাটির অস্তিত্ব  খুঁজিয়া পাওয়া যায় নাই। জনগণের পক্ষ হইতে আমি ঘোষণা করিতেছি আজ হইতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশটির নাম পূর্ব পাকিস্তান এর পরিবর্তে হবে শুধুমাত্র বাংলাদেশ। প্রফেসর দেওয়ান জামাল চৌধুরী বলেন, নিজের প্রয়োজনে হলেও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে। উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ মাসুদুল হাসান বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু আল্লাহ উপর সহায় হয়ে, আত্মবিশ্বাসী হয়ে মুক্তিযুদ্ধের আহ্বান করেছিলেন এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে একটি সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখে ছিলেন। প্রধান অতিথি বলেন, গোটা বাংলাদেশই ছিল বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ে। তিনি বলেন, ফিদেল ক্যাস্ট্রো বঙ্গবন্ধুর সাথে পরিচিত  হয়ে মুগ্ধতা নিয়ে বলেন- আমার হিমালয় দেখা হয়নি কিন্তু আমি শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্বে এই মানুষটি হিমালয়সম। এতে আমার হিমালয় দেখা হল। তাছাড়া কোভিড পরবর্তীকালে সবাইকে নব উদ্যোমে কাজ করার আহ্বান করেন। সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর মোঃ ইলিয়াছ বখত চৌধুরী শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সাংবাদিক সিরিলডন টাইম ম্যাগাজিনে লিখে ছিলেন- মাতৃভূমিকে পশ্চিম পাকিস্তানের একটি উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতার জন্য বর্তমানের চমকপ্রদ নাটকীয় যুদ্ধের পর্যায়ে নিয়ে আসার ঘটনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের একদিনের ইতিহাস নয়, বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এটি তাঁর লক্ষ্য ছিল। তিনি বলেন, এ দীর্ঘ যাত্রায় কারাগার হয়ে উঠেছিল বঙ্গবন্ধুর আবাস এবং জীবনকালে  ৪৬৭৫ দিন কারাবন্দি ছিলেন। সবশেষে ১৫ আগস্টে শাহাদাতবরণকারী সকল আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।