বৃহস্পতিবার , ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ - বসন্তকাল || ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি

পিলার বিহীন ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল, দেখার কেউ নেই

প্রকাশিত হয়েছে -

শেখ আব্দুল হাকিম, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি –
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার দুই গ্রামের হাজার হাজার মানুষ একটি ঝুকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যাতায়াত করছেন।

সেতুটি ৫নং আন্দিউড়া ইউপির হরিশ্যামা ও ৫ নং ওয়ার্ড হাড়িয়া গ্রামের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত বোয়ালিয়া খালের উপর অবস্থিত। বৃষ্টি বা বর্ষার সময়ে এই খাল দিয়ে প্রচুর পরিমাণে পানি প্রবাহিত হয়। ফলে ধীরে ধীরে সেতুটির প্রায় সবগুলি পিলারই ভেঙ্গে গেছে। সেতুটি বর্তমানে শূন্যের উপর ঝুলে আছে। সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করা সম্পূর্ণ ঝুকিপূর্ণ। এই ঝুকিপূর্ণ সেতু দিয়েই চলছে দুই গ্রামের হাজার হাজার মানুষ, গবাদিপশুসহ ছোট বড় যানবাহন।

স্থানীয় বাসিন্দা অর্জুন পাল জানান, বর্তমানে সেতুটি সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই সেতু দিয়ে আমাদের হরিশ্যামা গ্রামের অনেক মানুষ যাতায়াত করে।

সরকারি প্রাইমারি স্কুল ও একটি হাই স্কুল হাড়িয়া গ্রামের ভিতরে হওয়ার ফলে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা স্কুলে যাওয়ার জন্য এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ব্যবহার করছে।

ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ হানিফ মিয়ার কাছে এই ব্যাপারে জানতে তিনি বলেন, ব্রীজটি অনেক দিন ধরে পিলার বিহীনভাবে আছে।আমরা ইতিমধ্যে ব্রীজ নির্মাণের ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে অবগত করেছি।ব্রীজটির সম্পর্কে ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার তপন দাস এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই ব্রীজের নীচ দিয়ে বালু ভর্তি নৌকা যাওয়ার ফলে ব্রীজের পিলারের সাথে ঘর্ষন লেগে ব্রীজের পিলার প্রায় সব ভেঙ্গে গেছে। ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এখন আর নৌকা যায় না। নতুন ব্রীজ নির্মাণ হলে অত্র এলাকার জনগণ উপকৃত হবে।

এই ব্যাপারে আন্দিউড়া ইউ/পি চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাক আহমেদ হেলালের কাছে বার বার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

ব্রীজটির সম্পর্কে উপজেলা এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জুলফিকার হক চৌধুরী বলেন, ব্রীজটির ব্যাপারের আমরা অবগত আছি। এই ব্যাপারে স্থানীয় এমপি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী এমপি কে জানিয়েছি।

পিআইও এর বরাদ্দের মাধ্যমে ব্রীজটি নতুন করে নির্মাণের জন্য চেষ্টা চলছে।
যদি পিআইও এর মাধ্যমে না হয় তাহলে আমরা পূনঃনির্মাণের প্রস্তাব পাঠাব।