দেশজুড়ে

প্রবাসে পাঠানোর নামে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নিঃস্ব করাই প্রতারক রবের কাজ

প্রিন্ট করুন

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর পৌরসভার নারায়নপুরের আব্দুর বর বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রবাসে যেতে ইচ্ছুক সহজ সরল যুবকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নিঃস্ব করে আসছে।
উল্লেখ্য সে বরিশাল ভোলার স্থায়ী বাসিন্দা ঐখানে জায়গা জমি না থাকায় সে পৌর এলাকার নারায়নপুর তার শশুড় বাড়িতে বসবাস করছিল,পরে সেখানে থেকেও পালিয়ে চলে এসে রাজধানী ঢাকার উত্তরার ১০ নাম্বার সেক্টরের ০৫ নাম্বার বাড়ির জাফর মিয়ার ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।

তথ্য সূত্রে জানা যায়,গত এক বছর পূর্বে সিংগাপুর নেয়ার কথা বলে উপজেলার জিনদপুরের প্রদীপ সরকার ও ইব্রাহিমপুরের আজহার মিয়ার কাছ থেকে অভিনব কায়দায় মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।এছাড়া পঞ্চগড় জেলার আরো অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার খবর পাওয়া গেছে।গতকাল( ১৫/০৭)বৃহস্পতিবার একই কায়দায় প্রদীপ সরকার কে মেডিক্যাল করাবে বলে সাথে আরো একজন লোক নিয়ে আসার কথা বললে, প্রদীপ বিষয়টি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার কে অবগত করেন।ঐ ক্রাইম রিপোর্টার বিদেশের যাত্রী সেজে প্রদীপের সাথে রাজধানী ঢাকায় এসে কৌশলে প্রতারক চক্রের মূলহোতা রবকে ফকিরাপুল মোড় থেকে আটকিয়ে পুলিশের সহায়তায় পল্টন মডেল থানায় নিয়ে যায়।সেখানে দীর্ঘ ৬ ঘন্টা থাকার পর প্রতারক আব্দুর রব স্বীকার করে হাতিয়ে নেয়া টাকা আগামীকালের মধ্যে সামাজিকভাবে বসে ফেরত দিয়ে দিবেন। পরিশেষে প্রতারকের স্ত্রী নাজমা ও তার ছোট মেয়ে এসে শর্ত মেনে থানা থেকে নিয়ে যান।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী প্রদীপ সরকার বলেন,আমি গরীব মানুষ এই প্রতারক আব্দুর রব ও তার সহযোগী শীতারামপুর গ্রামের নাসির মিয়া আমাকে সিংগাপুর নিবে বলে কয়েক দফায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিঃস্ব করে দিয়েছে। পুনরায় আমাকে ১৫ হাজার টাকা ও আমার একজন সহকারী হিন্দু লোক লাগবে বলে সহকারীকে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে ঢাকায় মেডিক্যাল করার জন্য বললে আমি আমার পরিচিত একজন সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার বাবুল কে বিষয়টি অবগত করি।তখন ঐ রিপোর্টার হিন্দু সেজে আমার সাথে ঢাকায় এসে সুকৌশলে ফকিরাপুল মোড় থেকে আটকিয়ে পুলিশের সহায়তায় পল্টন মডেল থানায় নিয়ে যান।সে আরো ৩০/৩৫ জন লোকে কে এমন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নিঃস্ব করেছেন।গতকাল রাত ২ টায় আমার টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে পল্টন মডেল থানা জিডি নং ৭৯৫ এর মাধ্যমে তার স্ত্রী ও মেয়ে এসে তাকে থানা থেকে নিয়ে যায়। আমি সহ আমরা যারা প্রতারিত হয়েছি সকালের দাবি আমাদের টাকা যেন দ্রুত ফেরত পাই।
অপর ভুক্তভোগী আজহারও তার কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া টাকার একই বর্ণনা করেন।

এসম্পর্কে প্রতারক আব্দুর রব সকল অভিযোগ স্বীকার করে বলেন,আমি আপনাদের সাথে প্রতারণা করেছি, আপনাদের টাকা ফেরত দেয়ার একটা সুযোগ দেন আমি টাকা ফেরত দিয়ে দিব।তার কোন অফিস বা তার কোন পেশা রয়েছে কি না প্রশ্ন করা হলে উত্তরে সে জানায়, সে কখনো রিক্সা চালায়,কখনো লঞ্চের ইঞ্জিন ঠিক করেন।তার কোন নিদিষ্ট অফিস নেই সে ভাসমান থেকেই এই কাজ করে যাচ্ছেন। আজকের পর থেকে এই প্রতারণার পেশা ছেড়ে দিবে বলে ওয়াদা করেন।

এবিষয়ে পল্টন মডেল থানার ওসি আবু বক্কর ছিদ্দিক তার কর্তব্যরত কক্ষে ডেকে নিয়ে বলেন,যেহেতু বাদী মামলা করতে ইচ্ছুক না এবং বিষয়টি নিজেদের লোকের মধ্যে হয়েছে সেহেতু আপনারা সামাজিক ভাবে বসে সমাধান করুন, আর নতুবা আমার থানায় মামলা দিতে চাইলে দিতে পারেন।আমি তা আমলে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


Related Articles

Back to top button
Close