বানিয়াচংয়ে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা- মুমূর্ষঅবস্থায় চিকিৎসা চলছে
বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি। বানিয়াচং উপজেলায় রাতের আধাঁরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে প্রতি পক্ষের লোকজন। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট প্রেরণ করেছে বলে একটি সূত্রে জানা যায়। আহত সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬নং কাগাগাপা ইউনিয়নের ওয়ার্ডের চমকপুর গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল লতিফ মিয়ার পুত্র কবির মিয়া (৪০) গতকাল শুক্রবার প্রতিদিনের ন্যায় নিজ বাড়ীতে শয়ন কক্ষে তিনি ঘুমিয়ে পরেন। রাতে কোন সময় একি পাড়ার ইদ্রিস মিয়ার স্ত্রী আহত কবির মিয়ার ফুফুতো বোন হুসনা বেগম কবির মিয়ার মোবাইল ফোনে তাদের বাড়িতে যাওয়া জন্য বার বার অনুরোধ করলে তিনি অসুস্থ হওয়ায় না যাওয়া কথা বলে তিনি আবার শুইয়ে পরেন । তবে রাত অনুমান দেড়টায় তিনি ঘরে দরজায় খুলে বাহিরে আসলে দেখতে পান নিজ গ্রামের আজমান মিয়ার তিন পুত্র হামজা,আতাবুর ও হাজুলহক দরজার সামনে। বলে তোমারে নিতে আমাদেরকে পাঠানো হয়েছে। তিনি না যাওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি তাদের হাত থেকে। এক পর্যায়ে তারা জোরপূর্বক মূলকই নিয়ে যায়, বাড়ি পাশে যাওয়ার সাথে সাথেই উৎপেতে থাকা একি গ্রামের মৃত খালেক মিয়ার পুত্র এলাকার চিহ্নিত চোর কাসেম মিয়া তার গলায় গামচা দিয়ে জাপটে ধরে হুসনার ঘরে নিয়ে গেলে হুসনা নিজে ক্যারেন্ট দিয়ে শট দেয়। এবং হত্যার উদ্দেশ্য কাশেম,হুসনা,বুলবুল, হামজাসহ তার দুই বোন মিলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে হুসনার ভাইয়ের বাড়ি হারুন মিয়ার বাথরুমের টেংকিতে পেলে দিতে চেষ্টার সময় কবির মিয়ার বড় ভাই সাবাজ মিয়ার পুত্র স্থানীয় আনন্দ বাজার কাপড় ব্যবসায়ী শুভাক মিয়া বাজার থেকে বাড়িতে আসার সময় তার চাচার সু-চিৎকার শুনে পরিবারের অন্য লোকসহ আগাইয়া আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের বানিয়াচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন সে খানে তার অবস্থা আশংকা জনক দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেফার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে হুসনার বাড়িতে গিয়ে কাউকে না পেয়ে তাদের এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে তাদের ঘরে তালা জুলতে দেখা যায়। বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরান হোসেন জানান, স্থানীয় সূত্রে জেনে সকালেই ঘটনাস্থালে পুলিশ পাঠাই । তদন্ত করে বলা যাবে কি কারণে
ঘটনা ঘটেছে। (ছলবে)