শুক্রবার , ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১০ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

নবীনগরের নাটঘরে ফসলি জমির পানি চলাচলের সরকারী জায়গা দখলের হিড়িক

প্রকাশিত হয়েছে -

মোঃ বাবুল, নবীনগর ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর হনাটঘর ইউনিয়নের নাটঘর পূর্ব দক্ষিণ পাড়া ফসিল জমির পানি চলাচলে সরকারি খাস জায়গা ভরাটের করার হিড়িক পড়েছে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, সরকারি ম্যাপে ‘গোপাট’ উল্লেখ থাকলেও ব্রিটিশ আমল থেকে উল্লেখিত ‘গোপাটটি’ একপাশে অর্ধেকাংশে খাল সাদৃশ্য থাকায় সাধারণ জনগণের চলাচলের জন্য খালের উপর সরকারীভাবে ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে। এই খালের মাধ্যমে নাটঘর,চড়িলাম,নসরাবাড়ি,
রুদ্রাক্ষবাড়ি,ধনাশী গ্রামের ফসলি জমির পানি সহজেই নেমে নাটঘরের বড় খাল হয়ে তিতাশ নদীতে চলে যায়। তাছাড়া শুকনো মৌসুমে ফসলি জমিতে পানি প্রয়োজনে হলে এই খালে স্কিম মেশিন বসিয়ে সহজেই বড় খাল হয়ে তিতাশ নদী থেকে পানি নিয়ে আসতে পারেন সাধারণ কৃষক। দীর্ঘদিন ধরে দখল হয়ে আসা খালটির শেষাংশ বড় খালের সংযোগ স্থলটিও শেষ রক্ষা হয়নি। বিগত কিছু দিন ধরে নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল হাকিম গংরা খালের মুখে বাঁধ দিয়ে অবৈধ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে খালটি ভরাটের কাজে ব্যস্ত। যদিও তারা দুই বছর পূর্বে নাটঘর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ওয়াদা করে এসেছে ভরাট করবে না মর্মে।

খালটি ভরাট হলে সাধারণ কৃষকের ফসলি জমিতে পানি কি করে আসবে এবং শুকনো মৌসুমে পানি কি করে উঠাবে এসম্পর্কে একাধিক সাধারণ কৃষক বলেন,আমরা বাপদাদার আমল থেকে এই খালটি দেখে আসছি,এই খালের মাধ্যমে আশেপাশের সকল ফসলি জমির পানি চলাচলে করে।এটি মোটামুটি ভরাট হয়ে গেছে, এখন যদি এই মুখটিও ভরাট হয়ে যায় আমরা সাধারণ কৃষক অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হব। তারা প্রভাবশালী তাদের কাছে আমাদের কথা আবার বলতে যাইয়েন না।

ভরাট করার সম্পর্কে সাবেক ইউ পি সদস্য আব্দুল হাকিম বলেন,খালের পাশে আমার জমিগুলো ভেঙে যাচ্ছে তাই ভরাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখানে ১৫ ফুট প্রস্থ সরকার জায়গা রয়েছে বাকী আমার জায়গা। উল্লেখ্য তার পাশে থাকা তার ছেলে বারবার বলতে ছিল, আপনরা আমাদের ছোট প্রজেক্ট শুধু দেখেন নারুইয়ের শিল্পীপ্রতি যে সরকারের বড় বড় প্রজেক্ট ভরাট করতেছে ঐটা দেখেন না।

সরকারি জায়গা ভরাট করতে কি কোন অনুমতি নেয়া হয়েছে জানতে চেয়ে নাটঘর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সালেক আহমেদ কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয়,আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। অচিরেই সরজমিনে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তাছাড়া আমি এখানে নতুন।

ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা নতুন বলায় পাশে থাকা নাটঘর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহায়ক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আব্দুল হাকিম মেম্বার ২ বছর পূর্বে আমাদের এখানে এসে ওয়াদা করে গিয়েছে খালটি মাটি দিয়ে ভরাট করবে না।এখন যদি ভরাট করে তাহলে আমার ঊর্ধ্বতনরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।