নবীগঞ্জে আলোচিত মক্কীরাণী পারুল আটক

হবিগঞ্জের সংবাদ ডেস্ক ,নবীগঞ্জে বহু অপকর্মের হোতা মক্ষিরাণী পারুলকে মোবাইল চোরির অভিযোগে আটক করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষ পুলিশের হাতে সোপর্দ করে,অতঃপর রহস্যজনক কারনে আবার সে ছাড়া পেয়ে যায়৷ এঘটনায় এলাকায় সচেতন মহলের লোকজনের মধ্যে নানা প্রশ্ন ও মুখরোচক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে৷
জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার বহুল আলোচিত সমালোচিত মক্ষিরানী পারুল সে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে রোগীর মোবাইল ফোন চুরির দায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট ধরাশায়ী হলে তাকে নবীগঞ্জ থানা পু্লিশে সোপর্দ করা হয়। পরে রহস্যজনক কারনে নবীগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে কোন মামলা না হওয়াতে এবং বাহুবল থানায় পারুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি থাকায় বাহুবল থানা পুলিশের কাছে তাকে প্রেরণ করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে ফারজনা আক্তার পারুল আদালতের হাজিরা রিকল দেখালে তাকে ছেড়ে দেয় বাহুবল থানা পুলিশ।
এদিকে নবীগঞ্জের সচেতন মহল এই মক্ষিরাণী ফারজানা আক্তার পারুলকে গ্রেফতারের কথা শুনে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেও পরে প্রকাশ করেছেন চাপা ক্ষোভ ও নিন্দা৷
অনেকেই বলছেন মোবাইল চুরির অভিযোগে আটকের পরেও কিভাবে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়? উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মচারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন
বৃহস্পতিবার দুপুরে ছদ্মবেশী পারুল নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা জনৈক মহিলা রোগীর মোবাইল ফোনটি চুরি করেন পারুল। পরে হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাকে থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয়া হয়৷
হাসপাতাল সুত্রে আরো জানা যায়, পারুল এর আগেও একাদিকবার হাসপাতের বিভিন্ন জিনিস চুরি করে নিয়ে যায়।
অপরদিকে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে বাহুবল থানায় ২০১৩ সালের একটি মামলায় ওয়ারেন্ট ইস্যু থাকায় তাকে বাহুবল থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয়। পারুল সেই মামলায় কিছুদিন আগে হাজিরা দিয়ে জামিনের কাগজ দেখালে থাকে পুলিশ ছেড়ে দেয়।
স্থানীয় সূত্র আরো জানায়, বহুরুপি এই পারুল নবীগঞ্জ উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় বছরের পর বছরধরে দেহ ব্যবসার সাথে জরিত রয়েছেন। শুধু তাই নয় দেহ ব্যবসার সাথে এলাকার যুবকদের মাধ্যমে জুয়ার আসর ও বসে তার বাসায়। অভিযোগ রয়েছে, পারুলকে ব্যবহার করে ইনাতাবাদ গ্রামের আঙ্গুর মিয়ার ছেলে রিপনের ছত্রছায়ায় নবীগঞ্জ কুর্শী ইউনিয়নের বাংলাবাজারে এক অপকর্মের রাজত্ব কায়েম করেছে৷
পারুলকে আটকের পর মুখ না খুলতে সালাম ও রিপন নবীগঞ্জ থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাপ শুরু করে তাকে রহস্যজনকভাবে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেন৷
পারুলের বিরুদ্ধে দেহব্যবসা ছাড়াও জুয়া, মাদকবিক্রি ও দাদন ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে তিন জনের এ বিশাল সিন্ডিকেট।
এলাকাবাসীর দাবী পারুলের সহযোগী রিপন মিয়াসহ যারা এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছে তাদেরকে আইনের আওয়তায় আনা হউক।
বাহুবল থানার ওসি তদন্ত আলমগীর কবির বলেন, তাকে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ আটক করার পর বাহুবল থানায় ওয়ারেন্ট থাকায় আমাদের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু পারুল কিছুদিন আগে আদালতে হাজির হয়ে জামিনে থাকার কাগজ দেখালে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ বলেন, ফারজানা আক্তার পারুলকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে তার বিরুদ্ধে বাহুবল থানায় ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে বাহুবল থানা পুলিশের কাছে পাঠানো হয়।