বৃহস্পতিবার , ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ || ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ - গ্রীষ্মকাল || ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

আমার অভিজ্ঞতা….ফুসফুসের ৩৫ শতাংশ সংক্রমণ নিয়ে আমার বেঁচে থাকা’টাই দুরূহ ছিলো

প্রকাশিত হয়েছে -

এডভোকেট শেখ ফরহাদ এলাহী সেতু, আর যদি এক দিন হবিগঞ্জের তথাকথিত করোনা হাসপাতালে থাকতাম তবে এতো দিনে বোধ হয় আমার কবরে ঘাস উঠতো। কাছের প্রতিষ্টিত স্বজনদের সাহায্য পাইনি….! আমার বন্ধু পুলিশ অফিসার আইয়ুব আলী সার্বক্ষণিক হাসপাতালে সকাল-সন্ধ্যা আমার কাছে থেকেছে। অবস্থা যখন গুরুতর— ছোট বেলার বন্ধু ‘৮০ র দশকের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা শাহাদাত হোসেন সাদত এবং আরেক সহযোদ্ধা শফিকুল আলম চৌধুরী সফিকের সহযোগিতায় উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকা’য় পাড়ি জমাই। দু’জনই আমার সঙ্গে যায়। সাথে ছিলো আমার বড় ছেলে সৌমিক। আমার স্ত্রী’র ভূমিকা ছিলো অনন্য —–অতুলনীয় সহযোগিতা পেয়েছি তার কাছে।
বন্ধু সাদত’এর কাছে খবর পেয়ে অতিদ্রুত সাহায্যের হাত বাড়ায় আমার বন্ধু দেশের বিশিষ্ট চিকিৎসক ভাটি বাংলার প্রাণ পুরুষ ডাঃ আবুল কালাম চৌধুরী (বি এস এম এম ইউ-তে কর্মরত)। আমাকে পি জি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বন্ধু কালামের সহযোগিতা আমি বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখি ।
এখানে আরো উল্লেখ্য, আমার শ্রদ্ধেয় ডাঃ দেবপদ দাদা এবং আমার বন্ধু ডাঃ শাহজাহান সার্বক্ষণিক আমার খুঁজ রেখেছেন, সাহস যুগিয়েছেন।
আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু AD Taj Uddin Sufi একই সময়েে করোনা আক্রান্ত হলে একদিন পর থাকেও একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার ভাই-ভাতিজা’রা আমাদের দু’জনের প্রতি অগাধ ভালোবাসা দেখিয়েছে পুরো সময়। এ সময় আমাদের আরেক সহযোদ্ধা জিয়াউল হাসান তরফদার মাহিন আমাদের কে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করেছে……. আমার গ্রামের বাড়ি বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচং -এ আমার সুস্থতার জন্য মসজিদে মসজিদে দোয়া হয়েছে…….
আল্লাহর ইচ্ছায় বেঁচে গেছি ঠিক….. কিন্তু আমার করোনা কালে শ্বাস প্রশ্বাসে’র প্রচন্ড কষ্ট আর শারীরিক অবনতির জন্যে বেঁচে থাকার যে কঠিন লড়াই করেছি….. তা মনে হলে আজো আমার মন ভিষণ ভাবে আতকে উঠে। এ কষ্ট লিখে কিংবা ভাষায় বলে বুঝানোর মত ক্ষমতা আমার নাই !!! তাই সবার কাছে আমার অনুরোধ, যারা এখনো করোনা ভ্যাকসিন নেন নাই—–অবিলম্বে এটা গ্রহন করুন, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন…..ধন্যবাদ।৷ ছবিঃ করোনা কালে আগষ্ট ২০২০ ইং