দেশজুড়ে

কাগাপাশায় বোরো ফসল লেদা পোকার আক্রমণে । হতাশ হাওর পারের কৃষক

প্রিন্ট করুন

সাজ্জাদ বিন লাল / মোঃ আজমল হোসেন খাঁন/মুবাশ্বির আহমেদ , বানিয়াচং। বানিয়াচংয়ে বোরো ধানক্ষেতে লেদা পোকা ও ধান গাছ কেটে দেওয়া কারেন্ট পোকার আক্রমণে দিশেহারা হয়েছেন কৃষক। এসব পোকার আক্রমণের কারণে এবার কাগাপাশায় ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশংকা করেছেন কৃষকরা। এর ফলে তাদের পারিবারিক খাদ্য জোগানের সংকট দেখা দিতে পারে এমনটিই আশংকা করছে এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী কৃষকরা স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ না পেলেও বিভিন্ন ঔষুদ কোম্পানির শরণাপন্ন হচ্ছেন। কৃষকরা ঔষধ কোম্পানির কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে তারা ক্ষেতে ঔষধ স্প্রে করে ফসল বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। তবে ঔষধ স্প্রে করে কারো সীমিত কাজ হলেও আবার কারো কাজে আসছে না। তবে কৃষি বিভাগ পোকার প্রতিরোধে শুধু ঔষধ লেখে দিয়ে এবং অফিসে বসে বসে তাদের শেষ পরামর্শ করলেও কৃষকদের দুশ্চিন্তা কাটছে না।

জানা যায়, এবার বানিয়াচংয়ের ১৫ টি ইউনিয়নের পরপর পঞ্চম দফার বন্যার পানিতে ডুবে হাওয়া হাওর নিম্নাঞ্চলের কৃষকের বীজতলা পানি সময় মতো না যাওয়ায় দেরিতে বীজ তলায় ধানের বীজ বুনতে হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় কয়েকদিন পুর্বে শিলা বৃষ্টি আগাতে হাওরের বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। ধানের ক্ষতি শেষ হতে না হতে আবার ১ সপ্তাহ যাবত লেদা পোকা ও ধান গাছ কেটে দেওয়া কারেন্ট পোকার আক্রমণে কাগাপাশা ইউনিয়নের বাগিয়ারগুল,ধনপুর,লোহাজুরী, চমকপুর ও দিশেহারা হয়ে পরেছেন কৃষকরা।

ইউনিয়নের কৃষকরা জানান, বোরো ক্ষেতে লেদা পোকা, কারেন্ট পোকার আক্রমণ করেছে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ এখনো তারা পাননি। ওষুধ কোম্পানির লোকজন তাদের ক্ষেত দেখে তাদের কোম্পানির ঔষদ স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের পরামর্শে তিনি এখন তাদের বোরো ক্ষেতে ঔষধ স্প্রে করছেন। তবে এসব ক্ষেতে ধানের উৎপাদন তেমন ভালো হবে না।

লোহাজুরী গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, কৃষকের এবার শান্তি নেই। দফায় দফায় বন্যায় বন্যার পর বীজ তলার পানি সময় মতো শুকায়নি,
দেরীতে ধান চারা রুপন করতে হয়েছে। আবার শিলা বৃষ্টির তান্ডবের ভয় শেষ হতে না হতে ধান গাছে আবার পোকার আক্রমণে আমরা এখন দিশেহারা। এবং ফসলের উৎপাদন না হলে পারিবারিক খাদ্য সংকটে পড়ার আশঙ্কা করছি। 

এ বিষয়ে ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবু কাউসার জানান, গত কয়েক দিন পুর্বে কাগাপাশা ইউনিয়নের ইছুবপুরের হাওরে এ পোকার বিস্তার দেখা গেলে কৃষকরা মোবাইল ফোনে জানালে। আমাদের আফিস থেকে স্থানীয় কাগাপাশা বাজারে লেদা পোকার বিষয়ে বার বার কেম্পিন করা হয়েছে। এবং কৃষককে ঔষধ স্প্র করা জন্য বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন গতকাল থেকে ইউনিয়নের ধনপুর,লোহাজুরী, বগী,বাতাকান্দী, হারুনীসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা লেদা পোকার বিষয়ে অবহিত করছেন।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আকবর হোসেন রাজু জানান,প্রথমে অকাল বন্যা,তারপর শীলা বৃষ্টি,এখন আবার পোকার আক্রমণে নষ্ট হচ্ছে ফসল।
উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক এখনও পর্যন্ত কোন মাঠে এসে কোনো কৃষককে পরামর্শ দেননি। এমনকি হাওরে একদিনও কোন কৃষি কর্মকর্তাকে তিনি আসতে দেখেননি।কৃষি বিষয়ক পরামর্শ পাওয়া গেলে ফসল রক্ষা করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন,শুনেছি কাগাপাশা হাওরসহ আশপাশের হাওরে পোকার আক্রমণ বেড়েছে।পোকার আক্রমণ থেকে ফসল বাঁচাতে কৃষকদেরকে ঔষধ মারার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।


Related Articles

Back to top button
Close