দেশজুড়ে

নবীগঞ্জে আইনের তোয়াক্কা না করে অবাধে ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব

প্রিন্ট করুন

হবিগঞ্জের সংবাদ ডেস্ক।
নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের পাইক পাড়া এলাকায় সরকারি খাস জমি থেকে মাটি কাটার মহোৎসব মেতে উঠেছে প্রভাবশালী মহল। যে যার মতো মাটি কেটে নেওয়ার পাশাপাশি গভীর গর্ত করে মাটি কেটে বিক্রি ও নিজ বাড়ির উঠানে বড়াট করছে একটি দুষ্টমহল। কৃষি জমি ধ্বংসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ও নষ্ট হচ্ছে জমির ফসল উৎপাদনের উপযোগিতা হারানোর পাশাপাশি রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ থাকলেও জনপ্রতিনিধিদের সংশ্লিষ্টতা থাকায় কেউ মুখ খুলছে না ফলে নষ্ট হচ্ছে বেড়ির বিলের সৌন্দর্য।

নবীগঞ্জ উপজেলার ৯ ইউনিয়নের ১-২ নং ওয়ার্ডে”সহ আশপাশের এলাকায় মায়ের দোয়া মৎস্যজীবী সমাবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আঃ জলিল এর খেলাফতের মাধ্যমে মাটি কেনাবেচা হয় অভিযোগ তুলেছে সুশীল সমাজ।মাটি কাটার স্থানে প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত হওয়ার আগেই গাড়ি সরিয়ে নিতে নিজস্ব লোকজন দিয়ে পাহারা বসিয়েছেন।প্রশাসনের নজর এড়াতে নিকটস্থ সড়কে গাড়ি চলাচল না করে দূরবর্তী এলাকা হয়ে মাটি গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায় নবীগঞ্জ উপজেলার ৯নং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পাইক পাড়া গ্রামের সাবেক মেম্বার জয়নাল আবেদীন (৬৫) তার ইংল্যান্ড প্রবাসী বোন নরজাহান বেগম (৭০) এর বাস ভবনের পেছনে ৮-১০ জন শ্রমিক কে দিয়ে বাঁধছেন বাঁধ ঐতিহ্যবাহী বেড়ির বিলের বুক কেটে।

এহেন বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাষকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে, তিনি জানান সরকারি জায়গা থেকে যদি মাটি ও বালু তুলা হয় সেটি আমরা গ্রহণ করতে পারবো না সেটি আমাদের ধৈর্যের বাহিরে , তিনি আরো জানান হবিগঞ্জ জেলার প্রথেকটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কে, অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন ও মাটি খেকোদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্তার জন্য কঠোর ভূমিকা রেখেছেন।

এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি প্রতিবেদক এর কাছে বলেন, আপনি বিস্তারিত তথ্য আমার কাছে পাঠিয়ে দিন আমি আইনি প্রদক্ষেপ এর ব্যবস্তার করছি।এহেন বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সচেতন মহলের দাবি।


Related Articles

Back to top button
Close