দেশজুড়ে

বানিয়াচংয়ে জলাতঙ্ক নির্মূলে অবহিতকরণ সভা

প্রিন্ট করুন



সাজ্জাদ বিন লাল, বানিয়াচং । সারাদেশের ন্যায় ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে জলাতঙ্ক  নির্মূলের  লক্ষে হবিগঞ্জ জেলার  ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান (এমটিভি)  কার্যক্রম ২০২১ বানিয়াচংয়ে অবহিতকরণ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ মার্চ  সোমবার  দুপুর দেড় টায় বানিয়াচং  উপজেলা  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডা. শামীমা আক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা, ইউপি চেয়ারম্যান আহাদ মিয়া উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদারসহ অর্থ কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ ।

অবহিতকরণ সভায় জানানো হয়, জলাতঙ্ক  একটি ভয়ংকর  মরণব্যাধি, এ রোগে মৃত্যুর হার শতভাগ। পৃথিবীতে কোথাও না কোথায় ১০ মিনিটে  একজন এবং প্রতি বছরে প্রায় ৫৯ হাজার মানুষ  জলাতঙ্ক  রোগে মারা যায়।  জলাতঙ্ক  রোগটি মূলত কুকুরের কামড় বা আচঁড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এছাড়াও বিরাল, শিয়াল, বেজী, বানরের কামড় বা আচঁড়ের মাধ্যমে ও এ রোগ হতে পারে।  বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৫ থেকে ৬ লক্ষ মানুষ কুকুর, বিড়াল, শিয়ালের, কামর বা আচঁড়ের  শিকার হয়ে থাকে।  যাদের মধ্যে  বেশির ভাগই শিশু। এ ছাড়াও প্রায় ২৫ হাজার গবাদি  প্রাণী এ রোগের শিকার হয়ে থাকে।  

বাংলাদেশে ২০১০ সালের পুর্বে প্রতি বছর প্রায় ২ হাজার মানুষ জলাতঙ্ক  রোগে আক্রমন  হয়ে মারা যেত এবং গবাদি  প্রাণীর মৃত্যুর সঠিক পরিসংখ্যান  অজানা হলেও একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গবাদি  প্রাণী  এ রোগে মারা যায়। ২০১৬ সালের মধ্যে  জলাতঙ্ক  মুক্ত করার লক্ষে  ২০১০ সাল থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং প্রাণীসম্পদ মন্ত্রনালয়ের যৌথ  উদ্যোগে  জাতীয়  জলাতঙ্ক  নিয়ন্ত্রণ  এবং নির্মূল কর্মসূচি  বাস্তবায়ন  চলছে।  এরই অংশ  হিসেবে বাংলাদেশের সকল জেলায় ৬৭ টি জলাতঙ্ক  নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কেন্দ্র  চালু করা হয়েছে।

সংক্রমক হাসপাতালের বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায় ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সারাদেশে জলাতঙ্ক  রোগে আক্রমন  রোগির সংখ্যা ২১৪৭ থেকে ১৪৪৫-এ নেমে এসেছে এবং সংক্রমন ব্যাধি হাসপাতালেও এ রোগে আক্রমন রোগির সংখ্যা পূর্বেও তুলনায় প্রায় ৬০ ভাগ হ্রাস পেয়েছে । বর্তমান চলমান এসকল কার্যাক্রমের পাশাপাশি কুকুরের ৩ রাউন্ড টিকা প্রদান করা গেলে ইস্পিত লক্ষ অর্জন করা সম্ভব।


Related Articles

Back to top button
Close