দেশজুড়ে

নবীগঞ্জে পিতার সম্পত্তি চাচাতো ভাইদের দখলে। অধিকারের জন্য লড়াই করবেন সুহেল

প্রিন্ট করুন

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি ফেরত পেতে গ্রামের সালিশ বিচারের রায় মেনে নেন সুহেল। তাদের রায়ে ৮১ শতাংশ ভুমি ফেরত পেতে চাচা ও চাচাতো ভাইদের ৪ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা দেয়। কিন্তু সুহেল টাকা দিয়ে সম্পত্তি পাওয়াতো দুরের কথা এখন আদালতে ও সমাজপতিদের কাছে দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে।আইনের আশ্রয় নিয়ে দীর্ঘ তিন বছরে ও ভুমি পাচ্ছেন না।এমন ঘটনা ঘটেছে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের হুসেনপুর গ্রামে। সরেজমিনে এলাকাবাসীর কাছ থেকে ও মামলার সুত্রে জানা গেছে-ওই গ্রামের মৃত আরফাত উল্লার পুত্র মোঃ সুহেল মিয়া। তার চাচা আব্দুল রউফ ও চাচাতো ভাই মোহন ও মনু কাছে সম্পত্তি পাবার দাবিতে গ্রামের মুরব্বিয়ানদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকের রায়ে সুহেল তার চাচা আব্দুল রউফ মিয়াকে ভুমির জটিলতা ভেঙ্গে দিতে ১ লক্ষ ও চাতাতো ভাই মোহন ও মনুকে ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা দেয়ার রায় হয়। সুহেল রায় মেনে গ্রামের বিচারকদের সামনে তাদেরকে টাকা সমজিয়ে দেয়। কিন্তু এর পর থেকে চাচা ও চাচাতো ভাই ভুমি দিতে নাটকীয়তা শুরু করে। সুহেল কোন উপায় না পেয়ে হবিগঞ্জ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে ১৬ এপ্রিল ২০১৯ সালে সিআর ১৫২/২০১৯ ইং মামলা দায়ের করে। আদালত মামলাটি প্রথমে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও+ পরে নবীগঞ্জ থানার কাছে দেয়া হয়। প্রতিবারই সুহেলের বিপক্ষে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন যায়। আদালতে নারাজির প্রেক্ষিতে অবশেষে মামলাটি হবিগঞ্জ সিআইডি শাখায় দেয়া হয়। সিআইডি মামলাটি সত্যতা পেয়ে গত ২৮ জানুয়ারি ২০২১ ইং আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। আগামী ১৬ মার্চ মামলার প্রতিবেদন শুনানি হবে। এব্যাপারে জানতে চাইলে, এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ফজলুল হক বলেন-ঘটনাটি সত্য। ভুমি পাবার দাবিতে চাচা ও চাতাতো ভাইদের সুহেল ৪ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা দিয়েছে। এখনো সে ভুৃমি পায়নি এবং তারা টাকা ফেরত দেয়নি। বনকাদিপুর গ্রামের ফজলু মিয়া বলেন-সুহেলের সাথে তার চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা যাহা করছে তাহা সঠিক নয়। সুহেল তাদের দ্বারা প্রতারিত হয়েছে।এব্যাপারে ভুক্তভোগী সুহেল বলেন-শরীরের রক্ত থাকা সত্বে ও পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি ফেরত পেতে তার ন্যায্য অধিকার আদায়ের লড়াই করে যাবেন এবং প্রশাসনের সুদৃষ্টি চাচ্ছেন তিনি৷


Related Articles

Back to top button
Close