দেশজুড়ে

বাহুবলে পুলিশের গাড়ি চাপায় সিএনজি চালক নিহত । পুুুলিশের গাড়িতে আগুন

প্রিন্ট করুন

বাহুবল (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।।
বাহুবলে হাইওয়ে পুলিশের গাড়ি চাপায় অটোরিকশা চালক নিহত ও নারীসহ ৩ যাত্রী আহত হয়েছে। আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে অটোরিকশা শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রায় আড়াই ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে মহাসড়কের বাহুবল উপজেলা সদরের অনতিদূরে বাগান বাড়ি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা সংঘটিত হয় । নিহত সিএনজি চালক তোফায়েল মিয়া (২২) হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতানশী গ্রামের ফজলু মিয়ার পুত্র।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে নিহত তোফায়েল মিয়া মিরপুর থেকে যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশা (নং- হবি-থ-১১-৭৪৪৮) নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক হয়ে বাহুবল বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে বাহুবল উপজেলা সদর সংলগ্ন বাগান বাড়ি এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের চেকপোস্ট অতিক্রম করে। এ সময় হাইওয়ে পুলিশের একটি দল পুলিশ ভ্যানযোগে তাকে ধাওয়া করে। পয়েন্ট থেকে অন্তত দুইশ’ ফুট সামনে আসার সাথে সাথে পুলিশ ভ্যান ওই অটোরিকশাকে ধাওয়া করে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশাটি ধুমড়ে-মুছড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই চালক তোফায়েল মারা যায়। এতে গুরুতর আহত হন অটোরিকশা যাত্রী দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল হেকিমের পুত্র আজগর আলী (৬০) ও একই গ্রামের এনামুল হকের স্ত্রী মাসুদা আক্তার (৩৫) এবং হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মী মুসলিম উদ্দিন (৪০)। আহতদের প্রথমে বাহুবল ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ঘটনার পরপরই স্থানীয় সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকরা বিচারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। এতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাহুবল চলিতাতলা থেকে চারগাও পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার ব্যাপী যানবাহন আটকে পড়ে যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগে পরতে হয়।। এ সময় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তার মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়।
ঘটনার খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান, ওসি ( তদন্ত) আলমগীর কবির, হবিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী সহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেন।
বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, দুপুর ১টায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের শান্ত করে অবরোধ তোলে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। শ্রমিকদের অভিযোগ, প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ যানবাহনে তল্লাশীর নামে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে । এছাড়া সিএনজি অটোরিকশা আটক করে ৭/৮ হাজার টাকা আদায় করা হয়। টাকা না দিলে মামলা দিয়ে মাস দেড় মাস গাড়ি আটকে রাখা হয়।


Related Articles

Back to top button
Close