নবীগঞ্জে নিহত আলমগীরের পরিবারে চলছে শোকের মাতম৷ ২জনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দায়ের
স্টাফ রিপোর্টার, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জ-ইনাতগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পার্শ্ব থেকে মোঃ আলমগীর মিয়া (৪০) নামে ৩ সন্তানের জনকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় ২জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে নিহতের স্ত্রী মুর্শেদা বেগম বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ এদিকে নিহতের
পরিবারে এখনো চলছে শোকের মাতম৷ পরিবারের কর্তা বড় সন্তানকে হারিয়ে মা রাবেয়া বেগম সন্তান হারানোর শোকে ও বেদনায় কেঁদে কেঁদে বার বার মূর্ছা যান৷ নিতহ আলমগীরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় এক হৃদয় বিদারক করুণ দৃশ্য,নিহতের ৩টি মেয়ে বড় মেয়ে তানিয়া জাহান চৈতী সে নবীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে অধ্যায়নরত, প্রথম বর্ষের ছাত্রী৷ ২য় মেয়ে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী ও ৩য় মেয়ে হিবা আক্তার স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শেণীতে লেখা পড়া করে৷ মা রাবেয়া বেগমের ৬মেয়ে ৩ ছেলের মধ্যে আলমগীর ছিলেন ২বোনের ছোট এবং ভাইদের মধ্যে সবার বড়, অর্থাৎ তার পিতা আবুল কালাম আজাদ মারা যাওয়ার পর থেকে তিনিই পরিবারের ভরণ পোষণ করতেন এবং অভিভাবক (কর্তা) হিসেবেই সংসারের হাল ধরে রেখেছিলেন বলে তাঁর মা কান্নাজড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন ও থানায় অভিযোগে উল্লেখ করেন,গত বুধবার সন্ধ্যা অনুমান ৬টার দিকে আলমগীরকে তার বাড়ি থেকে ডেকে নেয় একই
ইউনিয়ের নিজ আগনা গ্রামের এলকাছ মিয়ার পুত্র জুবেল মিয়া৷ তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় ওই গ্রামের মৃত এরশাদ মিয়ার পুত্র রুয়েল মিয়ার বাড়িতে সেখানে নিয়ে জুবেল ও রুয়েল মিয়া সহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা আলমগীরকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে লাশ রাস্তায় ফেলে যায়৷ পরে
বৃহস্পতিবার ভোর-রাতে নবীগঞ্জ-ইনাতগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের নিজ আগনা গ্রামের পাশ্ব থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। আলমগীর মিয়া উপজেলার বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের ছোট ভাকৈর গ্রামের বড় বাড়ির মৃত আবুল কালাম আজাদের বড় ছেলে। জানাযায়, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নবীগঞ্জ-ইনাতগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের নিজ আগনা গ্রামের সড়কের পার্শ্বে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ সামছুদ্দিন খানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং মৃত দেহটি উদ্ধার করেন। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী। পরে মৃতদেহটি আলমগীর মিয়ার বলে শনাক্ত করে তার পরিবারের সদস্যরা।
নিহত মোঃ আলমগীর মিয়ার মাতা রাবেয়া বেগম, ও স্ত্রী মুর্শেদা বেগম সহ তার সন্তানদের দাবী আলমগীরকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে৷ এই ঘটনায় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে দোষীদের গ্রেফতার পূর্বক কঠোর শাস্তির দাবী জানান তারা৷
এঘটনায় নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- মৃতদেহটির ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না৷ তবে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটা একটি সড়ক দূর্ঘটনায় হয়তো তার মৃত্যু হয়েছে৷ এবিষয়ে পুলিশ অতি গুরুত্বের সহিত তদন্ত করছে বলেও তিনি জানান৷