দেশজুড়ে

বানিয়াচংয়ে স্ত্রীকে না পেয়ে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা শাহিনের।

প্রিন্ট করুন

বানিয়াচং প্রতিনিধি। হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় নিখোঁজ স্ত্রীকে ফিরে না পেয়ে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে শাহিন মিয়া নামের এক যুবক। সে উপজেলা সদরের ১নং ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামের আঃ ছালাম মিয়ার পুত্র। বানিয়াচং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ সদর হসপিটালে মিলিত ২০দিন যাবত চিকিৎসা নেয়ার পর এবার ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন শাহিন মিয়া।ডাক্তার বলছেন বিষক্রিয়ায় শাহিনের হার্ট এবং ব্রেইনে সমস্যা দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়-দুই বৎসর আগে ভালোবেসে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া থানার সেলিম খন্দকারের মেয়ে চম্পা খন্দকারকে বিয়ে করে শাহিন।সূখেই কাটছিলো তাদের সংসার।কিন্তু হঠাৎ একটা দমকা হাওয়ায় উলট পালট হয়ে যায় শাহিনের সংসার।
এলাকাবাসী ও মামলা সু্ত্রে জানা-প্রায় ৭ মাস পূর্বে অর্থাৎ ৬ এপ্রিল সোমবার দুপুর ১২ঘটিকার সময় চম্পা খন্দকার বানিয়াচং উপজেলা সদরের নন্দীপাড়া দরগা মহল্লার পুকুরঘাটে জল আনিতে গেলে কে বা কাহারা তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।পরে আড়াই মাস স্বামী শাহিনের খোঁজাখুজির পর সন্ধান মিলে অপহরণকারীদের। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬জুলাই ২০ইং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল(১) স্বামী শাহিন মিয়া বাদী হয়ে উপজেলার বড়ইউড়ি গ্রামের মৃত খান উল্লার পুত্র মোঃ মুহিত মিয়া মেম্বার,মমিন মিয়ার মেয়ে কলি আক্তার এবং পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন কাগাপাশা গ্রামের আইয়ুব আলী মিয়ার কন্যা শাহেনা আক্তারকে অভিযুক্ত করে একটি অপহরণ মামলা (১০৪/২০ইং)দায়ের করেন।বিজ্ঞ আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তভার দেন পিবিআইকে।এরই মধ্যে প্রভাবশালী আসামী পক্ষ ও বিভিন্ন মহলের চাপ ও হুমকিতে ১নভেম্বর রবিবার বিকালবেলা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলো শাহিন।
পরিতাপের বিষয় হচ্ছে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে অভিযুক্তরা। ৭মাস অতিবাহিত হলেও এখনও উদ্ধার হয়নি গৃহবধু চম্পা খন্দকার। তবে কি শাহিন ফিরে পাবে তার স্ত্রী চম্পাকে।


Related Articles

Back to top button
Close