দেশজুড়ে

বানিয়াচংয়ে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে এমপি আব্দুল মজিদ খান-কে গন-সংবর্ধনা

প্রিন্ট করুন

সাজ্জাদ বিন লাল, বানিয়াচং থেকে।

হাওরাঞ্চল খ্যাত বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় বিগত ১২ বছরে যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুতায়ন সহ সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক পরিমানে উন্নয়ন করায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জননেতা এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি মহোদয়-কে এক বিশাল গণসংবর্ধনা প্রদান করেছেন বানিয়াচং উপজেলার মক্রমপুর গ্রামের নাগরিক সমাজ।

২২ নভেম্বর রবিবার বিকালে উত্তর মক্রমপুর মাঠে গ্রামবাসী কতৃক এমপি আব্দুল মজিদ খান মহোদয়-কে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এতে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের নারী-পুরুষ অংশ নেন। এ সময় তারা এমপি মহোদয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের বর্ণনা দেন এবং ভূয়সী প্রশংসা করেন।

বক্তারা বলেন, আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল হেমন্ত পাও আর বর্ষায় নাও এই ছিল আমাদের সম্বল। কিন্তু এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান মহোদয় এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর এখন আর নৌকায় চড়তে হয় না।

মানুষজন বারো বছরই গাড়িতে করে চলাচল করতে পারছেন। এতেকরে জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের সাথে সাথে বেড়েছে শিক্ষার হার। শহরের জীবনমানের সাথে তাল মিলিয়ে নাগরিক সুবিধা ভোগ করতে পারছে এবং গ্রামাঞ্চলের ছেলে-মেয়েরাও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার জীবদ্দশায় বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জের গ্রাম এলাকায় পাকা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল ও বিদ্যুতের আলো জ্বলবে তা কল্পনাও করিনি। কিন্তু এমপি মজিদ খান রাস্তা-ঘাট ব্রীজ কালভার্ট, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় নতুন নতুন ভবন নির্মাণ ও বিদ্যুতায়নের মধ্য দিয়ে হাওরাঞ্চলবাসী হাজারো জনতার মন জয় করে নিয়েছেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও সংবর্ধিত ব্যক্তিত্ব এমপি আব্দুল মজিদ খান আবেগাল্পুত হয়ে বলেন, আমি আপনাদের একজন সেবক হয়ে নিজেকে ধন্য মনে করি।

আপনারা আমাকে যে ভালবাসা দিয়েছেন আপনাদের এই ভালবাসার ঋণ আমি কখনো শোধ করতে পারবো না। আমার ব্যক্তিগত জীবনে চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই, তবে যতদিন বেচে থাকবো সুখে-দুঃখে আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।

তিনি আরো বলেন, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর হাওরাঞ্চলবাসীকে প্রাধান্য দিয়ে উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছি। এর মাঝে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বানিয়াচং আজমিরীগঞ্জবাসীর জন্য করে দিয়েছি দুটি রাস্তা করেছি ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নবীগঞ্জ সড়ক, মক্রমপুর, শাহপুর, দক্ষিণ সাঙ্গর, হিয়ালা গ্রামের রাস্তা পাকা করেছি, ইউনিয়ন পরিষদ অফিস নির্মাণ হিয়ালা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুইটি নতুন ভবন নির্মাণ করেছি, তাছাড়া স্কুল কলেজ মাদ্রাসায়, নতুন নতুন ভবন নির্মাণ করেছি গ্রামে গ্রামে বিদ্যুতায়ন সহ অসংখ্য রাস্তা ঘাট ব্রীজ কালভার্ট নির্মাণ নির্মাণ করেছি। যার ফলে অবহিত হাওড়া অঞ্চলের মানুষ শহরের সাথে তাল মিলিয়ে নাগরিক সুবিধা ভোগ করতে পারছে।

এতো উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার প্রধান থাকার কারণে। উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও সাবেক বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম লিটন এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আবুল কাশেম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তজমূল হক চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমীন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আহাদ মিয়া, সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা সেচ্ছা সেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াহিয়া চৌধুরী, আরো বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাজিদ আলী তালুকদার প্রমুখ।


Related Articles

Back to top button
Close