নবীগঞ্জে চেয়ারম্যান মুকুলের বিরুদ্ধে শালিসের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ


নবীগঞ্জ প্রতিনিধি। হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নে দুর্নীতির দায়ে বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে এবার শালিসের রক্ষিত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ এনে মোঃ মাহমুদ মিয়া নামে এক ভুক্তভোগী প্রতিকার চেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। গতকাল সোমবার অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন। অভিযোগের বিবরণে জানা যায়- মাহমুদ মিয়া গজনাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপের অনুসারী হওয়ায় (বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান) ইমদাদুর রহমান মুকুল সরকার দলের প্রভাব বিস্তার করে মুকুল তার নিজস্ব বলয়ের আব্দুল হামিদ গং কর্তৃক বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানী করতে থাকে। একের পর এক মামলায় মাহমুদ মিয়া সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন। তিনি অভিযোগে আরও বলেন-প্রতিপক্ষের লোকজনের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোকজনের সাথে মামলা মোকাদ্দমা নিষ্পত্তি করে দেয়ার আশ্বাসে মুকুল চেয়ারম্যান ১ লাখ টাকা জামানত চাইলে মাহমুদ মিয়া চেয়ারম্যান মুকুলের কাছে ১ লক্ষ টাকা প্রদান করেন। দীর্ঘদিন সময়ক্ষেপন করে এক পর্যায়ে প্রহসনের সালিশ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ আরও তীব্র আকার ধারণ করে। বিরোধ ও মামরা মোকাদ্দমা নিষ্পত্তি হওয়ায় জানামতকৃত মাহমুদ মিয়ার ১ লক্ষ টাকা চেয়ারম্যান মুকুলের কাছে ফেরত চাইলে তিনি ৩৮ হাজার টাকা ফেরত দেন। এরপর থেকে অবশিষ্ট ৬২ হাজার টাকার জন্য চেয়ারম্যান মুকুলের কাছে ধর্ণা দিলেও চেয়ারম্যান মুকুল টাকা ফেরত না দিয়ে একেক সময় একেক কথা বলেন। অবশেষে চেয়ারম্যান মুকুল টাকা ফেরত না দেওয়ায় প্রতিকার চেয়ে মাহমুদ মিয়া নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ব্যাপারে গজনাইপুর ইউনিয়নের (বরখাস্তকৃত) চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে- তাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন বলেন-বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।