দেশজুড়ে

বানিয়াচংয়ের সাবরেজিস্ট্রার মানছেননা সরকারী আইন

প্রিন্ট করুন


মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার / আজমল হোসেন খান। এই যে জনাব আপনার অফিস কক্ষে এতো লোককে মাস্ক ছাড়া সেবা দিচ্ছেন। সরকারের নীতি নো মাস্ক নো সার্ভিস। আপনি কি জানেননা ? জানি তো কি হইছে ? ছবি তোলেন ওদের। তোলেছেন ? এবার খুশি তো। যান এবার কি করতে পারেন করেন। বলছিলাম হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ের সাবরেজিস্ট্রার মোস্তফা মোঃ ইসমত কামাল পাশার কথা। গত ১১ নভেম্বর সরজমিনে তার অফিসে গেলে সরকারী নীতির বিরুদ্ধে এই আস্ফালন দেখান তিনি।

তিনি সরকারের আইনের তোয়াক্কা না করে দলিল দাতা এবং গ্রহিতাদের মুখে মাস্ক ছাড়াই দিব্বি সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই এ অফিসে শত শত লোক উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মাস্ক ছাড়াই ভিড় জমান। ফলে করোনা ঝুঁকির প্রকোপ অত্রাফিসের মাধ্যমে বেড়েই চলেছে।

এছাড়া মোস্তফা মোঃ ইসমত কামাল পাশার বিরুদ্ধে সরকারী নীতিপন্থী কাজের রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। তিনি প্রতিদিন অফিস করার কথা থাকলেও নিজের ইচ্ছেমত ৩ দিন অফিস করছেন। তাও আবার প্রথম সপ্তাহে মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতি এবং ২য় সপ্তাহে রবি, সোম ও মঙ্গলবার অফিস করছেন। সরকারী নীতি অনুযায়ী সরকারী ১ম শ্রেণীর কর্মকর্তারা অফিস খোলার দিন ছাড়াও উপজেলা ত্যাগ করতে পারেননা। কিন্তু সাবরেজিস্ট্রার মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা ত্যাগ করে ৭ দিন বাড়িতে অবস্থান করে পরের সপ্তাহের মঙ্গলবারে অফিস করছেন এ কর্মকর্তা।

অপরদিকে প্রতিদিন অফিস না করার ফলে সপ্তাহে মাত্র ৩ দিন সময় পেয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের সংখ্যা তুলনামুলকবাবে বেড়ে যাচ্ছে। সরকার বাহাদুর যাচ্ছেন গণজমায়েত এড়াতে আর পাশা ইচ্ছে করে গণজমায়েত করে জনগণকে করোনা ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন।
সাবরেজিস্ট্রার পাশা ৩ দিন অফিস করলেও অফিসে আসেন দুপুর ১২ট থেকে ১ টার পর। আর অফিস শেষ করেন রাত ৮ টায়। এতে করে দুর দুরান্ত থেকে আসা নারী-পুরুষের নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে রয়েছে।

কথা হয় সাবরেজিস্ট্রার মোস্তফা মোঃ ইসমত কামালের সাথে। তিনি বলেন, আমি কারও ফোন ধরিনা। কারও কাজ থাকলে সরাসরি এসে দেখা করতে হবে। সাংবাদিকদের ফোন ধরেননা কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি কারও ফোন রিসিভ করিনা। মাস্ক ছাড়া সেবা দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ছবি তোলেছেন যা করার করেন। অন্যান্য প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা জানান, মাস্ক ব্যবহারে জনগণ এখনও অসেচতন। সাবরেজিস্ট্রার উপজেলায় বসবাস করেননা কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বিষয়টি আমার নজরে নাই। জেলা রেজিস্ট্রার বলতে পারবেন।
জেলা রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান জানান, বানিয়াচংয়ের সাবরেজিস্ট্রারের বিষয়ে আনিত অভিযোগ খতিয়ে দেখে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।


Related Articles

Back to top button
Close