দেশজুড়ে

বানিয়াচংয়ে নাগুড়া কৃষি ফার্ম এলাকায় হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে মানব বন্ধন

প্রিন্ট করুন

মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার। বানিয়াচং উপজেলার নাগুড়া কৃষি ফার্ম এলাকায় হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট “হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টি” স্থাপন করা হলে সরকারের হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে এবং হবিগঞ্জ বাসীর লালিত স্বপ্ন পুরণ হবে জানিয়ে মানব বন্ধন করেছে উপজেলার ১৩ নং মন্দরী ইউনিয়নের সর্বস্থরের জনগন।

গতকাল বুধবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে বানিয়াচং উপজেলার উত্তর সাঙ্গর বাজারে উত্তর সাঙ্গর মাদ্রাসার সভাপতি ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হাকিম ফুল মিয়ার সভাপতিত্বে ও আব্দুর আউয়াল মেম্বারের পরিচালনায় মানব বন্ধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমীন, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন খন্দকার আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন বিলু মিয়া, হবিগঞ্জ পৌর সেচ্ছা সেবক লীগের আহ্বায়ক বাবুল চৌধুরী, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আফজল আনসারী, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মেম্বার, আওয়ামী লীগ সবুর মিয়া মেম্বার, রহমান আনসারী মেম্বার, আলাউদ্দিন মেম্বার, দিলু মিয়া, তাহের মিয়া, মাহমুদ আনসারী, জাহাঙ্গীর আনসারী, জেলা ছাত্রলীগ নেতা জি এম কাদির, জাহির মেম্বার, খোদেজা আক্তার, ইসমাইল হোসেন, হান্নান চৌধুরী প্রমুখ। উক্ত মানব বন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, নাগুড়া কৃষি ফার্মকে কেন্দ্র করেই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের চিন্তা ভাবনা করে ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা র জনসভায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি করা হয়ে ছিল। সেই দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর অকৃপণ হস্তে গত ১০সেপ্টেম্বর মহান জাতীয় সংসদে “হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” আইন পাস হয়েছে। নাগুড়া ফার্ম এলাকায় ১০০ একরের উপরে সরকারি খাস জমি, হাজার হাজার একর কৃষি অকৃষি জমি ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো এবং গবেষণাগার বিদ্যমান। ইচ্ছে করলে এখনই শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা সম্ভব। উক্ত স্থানটি হবিগঞ্জ জেলার নয়টি উপজেলার প্রাণকেন্দ্র, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পরিবেশ অত্যন্ত ভাল। এখানে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করলে আপাতত কোন জমি ক্রয় করার প্রয়োজন হবে না। পরবর্তীতে যদি জমি ক্রয় করার প্রয়োজন হয় তাহলে শহরের তুলনায় এখানে জমির মূল্যও প্রায় ৩০ গুন কম হবে।
বক্তারা আরো বলেন, একটি তৈরি জায়গা থাকতে নতুন করে আরেকটি জায়গা তৈরি করে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে সরকারের হাজার কোটি অপচয় করার কোন যুক্তিকতা নেই। সার্বিকদিক বিবেচনায় নাগুড়া কৃষি ফার্ম এলাকায়ই “হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়” স্থাপনের একমাত্র উপযুক্ত স্থান।


Related Articles

Back to top button
Close